জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ খেলছে ভারত, এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজও নিশ্চিত হয়েছে তাদের। নানা সমস্যায় বেশ অনেক বছর ধরে ম্রিয়মান জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট। তবে একটা সময় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটেরও সোনালী দিন ছিল, সাফল্যের নানা অধ্যায়ে মোড়ানো ছিল সে সময়। বিশেষ করে নব্বইয়ের দশকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের চিত্রটাই ভিন্ন ছিল। ক্রিকেটের কুলীন দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত জয়ের ইতিহাসও আছে তাদের।
নব্বইয়ের দশকে কোকাকোলা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নামের এক ত্রিদেশীয় সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা। সেই সিরিজে ভারত-জিম্বাবুয়ে ম্যাচটি সে সময় বেশ আলোড়ন তুলেছিল। জিম্বাবুয়ে দল তখইন তারকায় ঠাঁসা; অ্যান্ডি ও গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, হিথ স্ট্রিক, অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল, পম্মি বাওয়াঙ্গারা তখন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সেই দলের তরুণ বোলার হেনরি ওলোঙ্গা ভারতের বিপক্ষে বিশেষভাবে নজর কেড়েছিলেন। ভারতের বিপক্ষে তার এক দুর্দান্ত বলে কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটিং বদলে দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার অজয় জাদেজা।
টুর্নামেন্টে গ্রুপের ফাইনাল ম্যাচে ওলোঙ্গা তুলে নিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি, শচীন এবং রাহুল দ্রাবিড়ের উইকেট। তার ক্ষুরধার বোলিংয়ে ভারত সেই ম্যাচ হেরে গিয়েছিল ১৩ রানে।
ম্যাচে নিজের সেরা বলটাতেই শচীনকে ধরাশায়ী করেছিলেন ওলোঙ্গা। তার খাটো লেংথের বলে আপার এজ হয়ে গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারের ক্যাচ হয়ে ফিরেছিলেন শচীন।
এই বলটিতে আউট হওয়ার পর শচীনের অন্যরকম প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়ে সম্প্রতি অজয় জাদেজা বলেন, ‘সেই বলটা শচীনকে বদলে দিয়েছিল। আমরা ওর সঙ্গে খেলতে পেরে ও সময় কাটাতে পেরে গর্বিত। ও যখন আউট হল, তারপর কয়েকদিন শচীন ঘুমোতে পারেনি। পুরো রাত ও হতাশ ছিল, আমি কোনোদিন ওকে এতটা হতাশ হতে দেখিনি। এটা আউট হওয়ার ইগো নয়, আমরা সেটার জন্য হেরেও ছিলাম। শচীন এরপর দুদিন অপেক্ষা করে ও ফাইনালে পুরো অন্য শচীনকে দেখি।’