‘লকডাউন’ শেষ হয়নি মিরপুরের পার্কে, ভেতরে চলছে চাষাবাদ

বিডি নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩১

ঢাকার মিরপুরের ১২ নম্বরের ডি ও ই ব্লকের মাঝের পার্কটি একসময় শিশুদের খেলাধুলা আর স্থানীয়দের অবসর বিনোদনের জায়গা ছিল, এখন সেখানে তালা ঝুলিয়ে ভেতরে চলছে চাষাবাদ।


ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে এই পার্কে এখনও মহামারীর লকডাউনের নোটিস ঝুলছে। ভেতরের একটি বড় অংশে গড়ে তোলা হয়েছে পেঁপে বাগান। আরেক পাশে করা হয়েছে বীজতলা।


এছাড়া কচু, পুঁইশাক, আদা, লেবু, কলা, পেয়ারা, সজনে, জাম্বুরা ও মাল্টা গাছও লাগানো হয়েছে পার্কের বিভিন্ন অংশে। এসব দেখাশোনার জন্যও লোক রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।


ই ব্লকের কিডজ ক্যাম্পাস স্কুলের অধ্যক্ষ রাবেয়া সুলতানা বললেন, পার্কটি এভাবে বন্ধ রাখায় শিশুদের খেলাধুলা ও বিনোদনের জায়গাটুকু হারিয়ে গেছে।


“এখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করত। এলাকার মানুষজন হাঁটত। তারা একটা বিনোদনের জায়গা পেত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে এটা বন্ধ করে রেখেছে। ওইটুকু খোলা জায়গা, সেটাও মানুষ হারিয়েছে।”

প্রায় আধা কিলোমিটার দীর্ঘ পার্কের পাঁচটি অংশের চারটিতেই তালা ঝুলছে। পার্ক কমিটির নামে সেখানে প্রবেশ বন্ধ রাখার নোটিস ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ভেতরের অংশে বাঁশের বেড়াও দেওয়া হয়েছে।


বিহারী ক্যাম্প সংলগ্ন পার্কের অংশটি এর বাইরে থাকলেও সেখানে রয়েছে ওয়াসার পানির পাম্প, উন্মুক্ত জায়গা খুব কম। পার্কের বটতলা সংলগ্ন অংশটিকে আর পার্ক হিসেবে চেনার উপায় নেই।


দোলনা, স্লাইডসহ শিশুদের খেলার বিভিন্ন রাইড ছিল পার্কে। সেগুলোর কিছু কিছু সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যেগুলো আছে, রশি বেঁধে ও বস্তা রেখে সেগুলো ব্যবহারের অনুপোযোগী করে রাখা হয়েছে।


চাষাবাদের পাশাপাশি নির্মাণ সামগ্রী রাখার কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে এ পার্ক। পাশের রাস্তাতেও রাখা হচ্ছে নিমার্ণ সামগ্রী।


পার্কের দুই অংশে কয়েকটি দোকানও বসানো হয়েছে, এজন্য নিয়মিত চাঁদা দিতে হচ্ছে জানালেও কারা সেই টাকা নিচ্ছে- তা বলতে চাননি দোকানিরা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us