চাপাবাজির রাজনীতি ও জনগণের ত্রাহি দশা

প্রথম আলো মেহেদি রাসেল প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২২, ২১:৩৭

হাজার বছরের কথা বলা মুশকিল, তবে অন্তত শ’খানেক বছর আগেও বাঙালি যে চাপাবাজিতে চৌকস ছিল, সে কথা বলাই যায়। নইলে তখনকার কবি কুসুকুমারী দাশ কবিতায় কেন প্রশ্ন তুলবেন, ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে/কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?’


‘বড় কথা’ বলা আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। আমরা বড় কথা ছাড়া থাকতে পারি না। বিলাতফেরত ডিগ্রিওয়ালা ডাক্তার যেখানে ‘ফেল মেরে’ যায়, সেখানে আমাদের মাঠে-ঘাটে ডিগ্রিহীন কবিরাজ চাপাবাজির জোরে মাত্র এক শ টাকার এক ‘ফাইলে’ কিংবা বিশ টাকার দুটো ‘বড়ি’তে দুরারোগ্য সব রোগ অনায়াসে কাবু করে দিচ্ছেন। তাঁর খরিদ্দারও নেহাত কম নয়; কম হলে ব্যবসা লাটে উঠে যেত।


ভেবে দেখুন, কতখানি চাপার জোর থাকলে দেশ–বিদেশের বড় বড় ডিগ্রিকে কমজোরি করে দেওয়া যায়! সুতরাং কবি কাজে বড় হতে বললেও কথার জোরকে একেবারে অগ্রাহ্য করার উপায় নেই। তাই আমাদের নেতারা যে মাঝেমধ্যেই ‘অমৃতবাণী’ দিয়ে থাকেন সেটাও অকারণে নয়। তবে জনমনে এটাও মনে হতে পারে যে, তাঁরা কি জেনে নাকি না জেনেই ‘অমৃতবাণী’ বর্ষণ করছেন। অবশ্যই জানেন, কিন্তু মাঠ গরম রাখতে এসব কথা বলতে হয়, আলোচনায় থাকতে এসব বলতে হয়—এটাই আমাদের রাজনীতির অলিখিত নিয়ম। কেননা যাঁরা ‘ডক্টর’ আর ‘ডাক্তার’-এর পার্থক্য জানেন না, সেই সব লোকও যে আছে নেতাদের সমর্থকদের সারিতে! রাজনীতি করতে গেলে সব শ্রেণির মানুষের কথা না ভাবলে কি চলে!


রাজনীতিবিদেরা কথার মাধ্যমে সব সময় যে আমাদের বিনোদন দেন তা নয়, নিজেরা বিপদেও পড়েন। চুরি, অর্থ পাচার, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতিতে শাস্তি না হতে পারে, কিন্তু বেফাঁস কথায় প্রায়ই শাস্তি হয়। অন্তত কয়েকজন মন্ত্রী যে উল্টাপাল্টা কথা কারণে গদি হারিয়েছেন, এটা ‘আন–অফিশিয়াল’ উপায়ে সবাই জানে। কথাসর্বস্ব সংস্কৃতিতে কাজের চেয়ে কথার অভিঘাত বেশি হবে, এটাই স্বাভাবিক। খেয়াল করলে দেখা যাবে কথা বলার কারণে রাজনীতিবিদদের যতখানি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছেন, কাজের কারণে ততখানি নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us