রাজধানীর ব্রাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়াতুন বাহা নোভা। করোনার আগে চতুর্থ শ্রেণিতে থাকা এই শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গড় ছিল নব্বইয়ের ওপরে। পঞ্চম শ্রেণিতে ওঠার পর বাসাতেই গাইড করেছেন বাবা-মা। পড়িয়েছেন সমাপনী পরীক্ষার জন্য। সে কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়া পরীক্ষায় অন্য সব বিষয়ের মতো গণিতেও পেয়েছিলেন নব্বইয়ের বেশি নম্বর। কিন্তু সেই শিক্ষার্থী পূর্ণ সিলেবাসে হওয়া ৬ষ্ঠ শ্রেণির অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ফেল করেছে গণিতে।
নোভার মা শারমিন আক্তার বলেন, করোনাকালীন নোভার মধ্যে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস আসক্তি জন্মাতে দেইনি। সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকলেও পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার জন্য বাসায় নিজে পড়িয়েছি। পরবর্তী সময়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হলে সে প্রতিটি বিষয়ে নব্বইয়ের বেশি নম্বর পায়। গণিতে পায় ৯৪ নম্বর। কিন্তু ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
তিনি বলেন, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পূর্ণ সিলেবাসে ক্লাস শুরু হওয়ার পর ফের করোনার ধাক্কায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ক্লাস চালু হলে রমজান সহ দুই ঈদের ছুটি। এতগুলো ব্রেকের পর মানসিকভাবে পরীক্ষায় মন বসাতে পারেনি সে। যে কারণে গণিতে ফেল করে বসে।
একই স্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফ হোসেন। এই শিক্ষার্থী ৭ম শ্রেণিতে থাকতে শুরু হয় করোনা। তখন অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে পাস করে অষ্টম শ্রেণিতে ওঠে। এই শ্রেণিতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে বার্ষিক পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে মূল্যায়নের মাধ্যমে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয় সে। কিন্তু নবম শ্রেণিতে পুরোদমে ক্লাস শুরু হলে তার মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায়। মাথা ব্যথা, পায়ে ব্যথা, পড়া প্রস্তুত হয়নি বিভিন্ন অজুহাতে ক্লাস ফাঁকি দিতে থাকে সে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৯ম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় এই শিক্ষার্থী ফেল করেছে ৫ বিষয়ে।