সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকাল থেকে তীব্র যানজটের ফলে ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীবাসী। বাসে ১০ মিনিটের পথ পার হতে লাগে ঘণ্টারও বেশি সময়। অফিসগামী যাত্রী, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।
রোববার (২১আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিল, কাকরাইল, মৎস্যভবন, শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, মহাখালী, রামপুরা ও বিমানবন্দর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়িসহ গণপরিবহন খুবই ধীরগতিতে চলছে। কোথাও কোথাও এক সিগনালেই আটকে থাকে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর কয়েক মিনিট চলার পর আবারও আটকা পড়ে জটে। একই অবস্থা ছিল ধানমন্ডি, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর ও আসাদগেট এলাকাতেও।
বাংলামোটর থেকে রমনা এলাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসা রওশন জাহেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাসা কাঁঠালবাগান। ব্যক্তিগত কাজে মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হয়ে দেখি রাস্তা ব্লক। কিছুক্ষণ হেঁটে একটু ফাঁকা দেখে রিকশা নিই। রিকশায় বাংলামোটর আসার পর দেখি আর যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। তারপর বাকি পথ হেঁটেই এসেছি। আসার পথে দেখি, সব গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।
জানা গেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ কারণে আশপাশের সড়কে যানচলাচল কিছুটা সীমিত করা হয়েছে। এতে ওই এলাকা এবং আশপাশের এলাকার সড়কে যানজট তৈরি হয়। অন্যান্য সড়কেও এর প্রভাব পড়ে।
যানজটে ভোগন্তিতে পড়া অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শাহবাগ থেকে উত্তরাগামী যাত্রী কাওসার হোসেন লিখেছেন, ‘বিজয় সরণির জ্যামে বসে আছি ৪০ মিনিট।’ তারিফ উল্লাহ নামে আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত পুরো প্যাকড।’