ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে সায় দেয়নি ট্যারিফ কমিশন। এর পরও দাম বাড়ানো হবে বলে বাজারে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। দাম বাড়াতে বাজারে সরবরাহ কমিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ট্যারিফ কমিশন সূত্র জানায়, দুই-তিন মাস ধরে বিশ্ববাজারে সব ধরনের ভোগ্য পণ্যের দাম কমছে। এ অবস্থায় অভ্যন্তরীণ বাজারে ভোগ্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল হলেই ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সমন্বয় করা যেতে পারে। এ ছাড়া পাম তেলের দাম কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়ে গত বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন।
কমিশনের সদস্য আবু রায়হান আল বিরুনী গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিশ্ববাজারের প্রেক্ষাপটে অভ্যন্তরীণ বাজারে ভোগ্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল হলেই ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সমন্বয় করা হতে পারে। ’
এদিকে গতকাল রাজধানীর শান্তিনগর ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পর্যাপ্ত ভোজ্য তেল থাকলেও এক-দুই লিটারের বোতল চাইলে দোকানিরা সহজে দিতে চান না। তাঁরা বলছেন, সামনে তেলের দাম বাড়বে—এ অজুহাতে মিলাররা তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন।
কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা সেলিনা রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাজারে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ও খোলা সয়াবিনের সংকট দেখা দিয়েছে। দুই-তিন দোকান ঘুরে তবেই পেয়েছি এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন। ’
কারওয়ান বাজারের ইউসুফ জেনারেল স্টোরের মালিক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘১০ দিন ধরে কম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। সিটি গ্রুপের তীর ব্র্যান্ডের এবং বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ খুবই কম। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা ৫০ লিটারের অর্ডার দিলে পাচ্ছি ১৫ থেকে ২০ লিটার। ফলে অনেক ক্রেতা ফিরে যাচ্ছেন। সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে কম্পানির লোকেরা বলছেন, সামনে দাম বাড়বে এ জন্য সরবরাহ কমানো হয়েছে।