বাচ্চাদের জন্মগত থাইরয়েড রোগ এমন একটি অবস্থা, যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি জন্মগতভাবেই থাকে না বা পুরোপুরি বিকশিত হতে পারে না। এ জন্য থাইরয়েড হরমোন তৈরি হতে পারে না।
থাইরয়েড গ্রন্থি কী?
থাইরয়েড গ্রন্থি আমাদের গলার নিচের অংশে অবস্থিত প্রজাপতি আকারের একটি গ্রন্থি, যা থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে। থাইরয়েড হরমোন বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ, বুদ্ধি, উচ্চতা, মেধা—এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
বাচ্চাদের থাইরয়েড হরমোন ঘাটতির লক্ষণ
♦ কোনো লক্ষণ না-ও থাকতে পারে, পরীক্ষা করলে ধরা পড়তে পারে
♦ বেশি ঘুমাচ্ছে, কম খাচ্ছে—এমন লক্ষণ থাকতে পারে
♦ অনেক দিন ধরে জন্ডিস থাকতে পারে
♦ পায়খানা কষা
♦ মাংসপেশিগুলো দুর্বল বা থলথলে
♦ গ্রোথ বা বৃদ্ধি কম হওয়া
আশার কথা, চিকিৎসা শুরু করলে তাদের লক্ষণগুলো কমে যায় এবং স্বাভাবিক বাচ্চাদের মতোই বেড়ে ওঠে।
চিকিৎসা
যদি রোগটি শনাক্ত হয়, তাহলে শিশু হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। লোভাথাইরক্সিন নামক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়, যা বাচ্চার ওজন ও বয়সভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। তারপর নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করে ডোজ ঠিক করা হয়। অন্যদিকে জন্মগত থাইরয়েডের বাচ্চাদের যদি জন্মের পরপরই রোগ শনাক্ত করা যায় এবং তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা যায়, তাহলে তারা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে ওঠে। তাই যাদের থাইরয়েড রোগের পারিবারিক ইতিহাস আছে তাদের বাচ্চাদের অবশ্যই জন্মের পর থাইরয়েড আছে কি না পরীক্ষা করতে হবে।