অর্থ পাচার কি আইনি বৈধতা পাচ্ছে?

বণিক বার্তা ড. মো. আইনুল ইসলাম প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩৪

দার্শনিক টমাস বেকন (১৫১২-১৬৬৭) অর্জনপ্রবণ-মুনাফাকেন্দ্রিক ক্রয়-বিক্রয়প্রধান অর্থনীতির দাপট দেখে মন্তব্য করেছিলেন, ‘যেসব ব্যক্তি ব্যক্তিগত দুর্নীতি করে নিজেদের মুনাফার অনুসন্ধানে লিপ্ত, তারা হলেন লোভী, মেষপালক আর রাখাল স্বভাবের ভদ্রলোক।’ সবাই বলেন, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা বহু ধরনের দুর্নীতি করেন। মুদিখানার দোকানিদেরও তো হিসাবরক্ষণে আসল খাতা, নকল খাতা নামে একাধিক খাতা থাকে। বিভিন্ন পেশার মানুষও তো কম-বেশি দুর্নীতি করে। এমনকি মহৎ পেশার শিক্ষকও জ্ঞানার্জন ও জ্ঞান বিতরণে গাফিলতি করে দুর্নীতি করেন। রাষ্ট্রের তিন অঙ্গের (নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগ) হেন কোনো বিভাগ নেই, যেখানে দুর্নীতি নেই। দুর্নীতি এখন বাংলাদেশে সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। শুধু কী ব্যবসায়ীদের দোষ! এই যে সাম্প্রতিক সময়ে সুইস ব্যাংক বাংলাদেশীদের বিপুল পরিমাণ টাকা জমা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে, প্রতি বছরই এমন একটা সময় আসে, যখন অর্থ পাচার প্রসঙ্গটি নিয়ে দেশের টং দোকান থেকে শুরু করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পাঁচ তারকা হোটেলেও ব্যাপক আলোচনা হয়। এরপর যথারীতি সব থিতিয়ে যায়। পরবর্তী বছর দেখা যায়, পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় অর্থ পাচার আরো বেড়েছে। এভাবেই তো চলছে। বিরক্ত জনগণের অনেককেই তাই এখন বলতে শুনি, ‘অর্থ পাচার আইন করে বৈধ করে দেয়া হোক। তাহলেই তো সব পাঠ চুকে যায়।’


দেশের জনগণ এমন মন্তব্য করতেই পারে। কেননা প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশীদের অর্থ পাচারের তথ্যে অতিশয়োক্তি রয়েছে বলে দাবি করে বক্তব্য দেন, সাংবাদিকরা ‘অত্যন্ত অন্যায়ভাবে’ বিষয়টিকে প্রচার করছেন। তবে কিছু অর্থ পাচার হয়। সেটি অতি যৎসামান্য। এটা নজরে নেয়ার মতোই নয়। কেননা বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১ সালের ৭ জুন সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন ‘কারা অর্থ পাচার করে, সেই তালিকা আমার কাছে নেই। নামগুলো যদি আপনারা জানেন, আমাদের দিন।’ কেননা পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের গচ্ছিত অর্থ দেশে ফেরত আনা প্রায় অসম্ভব এবং এর আইনি প্রক্রিয়াও নেই।’ কেননা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদ্যবিদায়ী গভর্নর ফজলে কবির গত ১০ জুন বাজেট পেশ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে কেউ অর্থ পাচার করে সুইস ব্যাংকে জমা করেছে—এমন কোনো তথ্য আমরা পাইনি।’ অথচ ২০১৪ সালের ২৮ জুন জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সুইস ব্যাংকে কে কত টাকা পাচার করেছেন, তার তালিকা হচ্ছে। দেশের টাকা আমরা দেশে ফিরিয়ে আনবই। অতীতেও দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা টাকা আমরা ফিরিয়ে এনেছি।’ ৯ মে ২০১৯ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখা ও দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে আবারো বলেন, ‘খুনি ও অর্থ পাচারকারীরা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, যত টাকাই খরচ করুক—তাদের কোনো ক্ষমা নেই। জাতি তাদের ক্ষমা করবে না।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us