সরকার বিদেশি ঋণ করছে বেশি

যুগান্তর প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২২, ১২:৩৩

কোভিড-১৯ প্রতিঘাত ও বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে বেশিমাত্রায় ঋণ করছে সরকার। সদ্য বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) ঋণ নিয়েছে ৪৬ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। এর আগের বছর (২০২০-২১) নেওয়া হয়েছিল ৪৫৫৩০ কোটি টাকা। জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত নয় মাসের ঋণের অঙ্ক আগের এক বছরের (১২ মাস) চেয়ে বেশি। এসব ঋণ বড় কোনো প্রকল্পের অনুকূলে নেওয়া হয়নি। নানা ধরনের ব্যয় করতে গিয়ে যে অর্থের ঘাটতি দেখা দিয়েছে তা পূরণ করতেই বিদেশ থেকে এই ঋণ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঋণ সংক্রান্ত এক নথি থেকে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।



ঋণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, গত অর্থবছরে যতটা আশা করেছিলাম, তার চেয়েও বেশি ঋণসহায়তা পাওয়া গেছে। এতে করোনার টিকা খাতসহ অন্যান্য খরচ মেটানো গেছে। এছাড়া ‘কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকাসহ দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর কাছ থেকে দ্রুত ঋণসহায়তা পাওয়া গেছে।


এদিকে চলতি অর্থবছরেও সরকার বিদেশি ঋণের প্রতি জোর দিচ্ছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছে এ পর্যন্ত ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৬৫০ কোটি ডলার) ঋণ সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে ৪.৫ বিলিয়ন (৪৫০ কোটি) ডলার চাওয়া হয়েছে আইএমএফ’র কাছে। এই ঋণ পাওয়া গেলে বাজেট সহায়তা হিসাবে ব্যবহার করা হবে।


জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এমকে মুজেরি যুগান্তরকে বলেন, বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে বাজেট সহায়তা হিসাবে ঋণ নেওয়া হয়। সে ধারাবাহিকতায় হয়তো এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে। এতে অভ্যন্তরীণ ঋণ ব্যবস্থা বিশেষ করে ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র থেকে কম ঋণ নিতে হয়েছে। এসব ঋণ করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রার সংকট আছে। আমাদের প্রয়োজন তাদের ঋণ সহায়তার। এই মুহূর্তে বিদেশি ঋণ পাওয়া গেলে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে অনিশ্চয়তাও কাটবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us