জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বরিশাল-ঢাকা নৌপথে চলাচলকারী লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে সমন্বয় করা হয়েছিল। তবে পদ্মা সেতুর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে যাত্রী টানতে গিয়ে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়া নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির নেতারা।
একইসঙ্গে আগে গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রতিযোগিতার অবসান হয়েছে। এখন থেকে ঘাট দিয়ে যার পেছনে যে লঞ্চ ছাড়বে সে লঞ্চ তার পেছন পেছন চালিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে লঞ্চ মালিক সমিতি।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সরকারি-বেসরকারি লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে সমন্বয় করা হয়েছিল। নতুন ভাড়া অনুযায়ী, প্রথম ১০০ কিলোমিটারের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি ভাড়া বেড়েছে ৭০ পয়সা এবং পরবর্তী দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ৬০ পয়সা। একইসঙ্গে নৌযানে সর্বনিম্ন ভাড়া ৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের টিএ শাখা।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বরিশাল-ঢাকা নৌপথে লঞ্চের ডেকের ভাড়া ৪৫৭, সিঙ্গেল কেবিন এক হাজার ৮২৮, ডাবল কেবিন তিন হাজার ৬৫৬ এবং ভিআইপি কেবিন ছয় থেকে সাত হাজার টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হয়।
তবে লঞ্চ মালিক সমিতি একজোট হয়ে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়ায় যাত্রী টানছে। যাত্রী সংকটে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিক সমিতি। বর্তমানে ডেকের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৪০০, সিঙ্গেল কেবিন এক হাজার ২০০, ডাবল কেবিন দুই হাজার ২০০ এবং ভিআইপি কেবিন চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। পাশাপাশি যাত্রীসেবা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা।