স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিপুল পরিমাণের ঋণ দিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের একাধিক উদ্যোক্তা-পরিচালকের বিরুদ্ধে। ব্যাংকে রাখা বীমা কোম্পানিটির স্থায়ী আমানত বন্ধক রেখে পরিচালকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট একাধিক কোম্পানিকে বেআইনিভাবে ঋণ দেওয়া হয়, যা আর কখনই ফেরত আসেনি। সব মিলিয়ে এর পরিমাণ প্রায় ৩৩০ কোটি টাকা।
তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটিতে ভয়াবহ অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে বিশেষ নিরীক্ষা চালিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। ওই নিরীক্ষা প্রতিবেদনে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে বিভিন্ন অনিয়ম ও লুটপাটের তথ্য উঠে এসেছে। প্রায় সাত বছর ধরে বীমাকারীদের আমানত লুট হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কমিশন (আইডিআরএ)।
এ বিষয়ে আইডিআরএর বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমি এখনো ঠিক জানি না, ঠিক কী ধরনের অনিয়ম হয়েছে কোম্পানিটিতে। তবে বীমা খাতে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে। কোম্পানির অর্থ আত্মসাৎ হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে অর্থ আদায়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।’