থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ১৭টি স্থানে একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ও সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ এই হামলাকে সমন্বিত বলে ধারণা করছে। এতে অন্তত ৭ আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতের পর এই হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে থাই পুলিশ এবং সেনাবাহিনী। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র প্রমোতে প্রোমিন বলেছেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ পাত্তানি, নারাথিওয়াত এবং ইয়ালার অন্তত ১৭টি হামলা হয়েছে। যেসব স্থানে হামলা করা হয়েছে তার বেশির ভাগই ছোট দোকান এবং গ্যাস ফিলিং স্টেশন। অন্তত তিনজন বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন।’ তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই হামলায় অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেউই এই সিরিজ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে থাইল্যান্ড সরকার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘ দুই বছর বিরতি দিয়ে ওই অঞ্চলের প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী বারিসান রেভোলুসি ন্যাশনালের সঙ্গে আলোচনা পুনরায় শুরু করেছিল। সেই আলোচনা চলার মধ্যেই এই হামলা হলো।
মালয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি প্রদেশে বিগত কয়েক দশক ধরেই বিদ্রোহীদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তাদের দাবি সম্পূর্ণ স্বাধীনতা। থাইল্যান্ডের পাত্তানি, ইয়ালা, নারাথিওয়াত এবং সংখলা প্রদেশের কিছু অংশের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলনরত বিদ্রোহীদের সঙ্গে থাইল্যান্ড সরকার দীর্ঘদিন ধরেই ছায়াযুদ্ধ করে আসছে।