দেশে শিক্ষিত বেকারের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে নারী-পুরুষ স্বল্পশিক্ষিত ও অশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। দেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের হার যেমন বাড়ছে, তেমন উচ্চশিক্ষিতদের বেকারত্বের হার বৃদ্ধি যেন নৈমিত্তিক খবর হয়ে উঠছে। উচ্চশিক্ষা এখন আর কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। তরুণরা যত বেশি পড়ালেখা করছেন, তাদের তত বেশি বেকার থাকার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। করোনা মহামারীতে চলতি বছর বিশ্বে বেকার মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২০ কোটি ৭০ লাখ।
এই সংখ্যা করোনা মহামারী শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালের চেয়ে ২ কোটি ১০ লাখ বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ‘ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক-ট্রেন্ডস ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বিশ্বের বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানের বর্তমান অবস্থা এবং পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ও ডেল্টা ধরন বিশ্বের সব দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে চলতি বছর বিশ্বে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২০ কোটি ৭০ লাখ হতে পারে। করোনার প্রাদুর্ভাব এবং সময়কাল সম্পর্কে অনিশ্চয়তার কারণে বিশ্বে আগামী বছর পর্যন্ত বেকার মানুষের সংখ্যা ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি থাকবে। আগামী দিনে চাকরি হারানো সব মানুষের চাকরি ফিরে পাওয়া ও মহামারীর আগের কর্মক্ষমতায় ফিরে যাওয়া বেশিরভাগ দেশের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা অর্থাৎ স্নাতক বা স্নাতকোত্তর শেষ করতেই একজন শিক্ষার্থীর জীবন থেকে ১৬ থেকে ১৮ বছর অতিবাহিত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেশনজট মিলিয়ে আরও তিন-চার বছর বেশি লেগে যায়। এর পর পরিবারের হাল ধরতে খুঁজতে হয় চাকরি। সন্তোষজনক চাকরি পাওয়া নিয়ে উচ্চশিক্ষিত তরুণদের মধ্যে হতাশা ক্রমেই বাড়ছে। বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা কত সে বিষয়ে হালনাগাদ কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে এর সংখ্যা যে একেবারে কম নয়, সেটি দেখা যায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগের সময়। হোক তা সরকারি কিংবা বেসরকারি।