এক বছরে মাধ্যমিকের ৪৭ হাজার ছাত্রীর বাল্যবিবাহ

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২২, ১২:৪৫

করোনা মহামারির মধ্যে গত বছর দেশের অর্ধেকের বেশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ লাখ ৮১ হাজার শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে ৪৭ হাজারের বেশি ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। আর শিশুশ্রমে যুক্ত হয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী। বাকিদের অনুপস্থিতির সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।


মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করতে মাউশির পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখা দেশের ১১ হাজার ৬৭৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালের তথ্য সংগ্রহ করেছে। বর্তমানে দেশে সরকারি–বেসরকারি মিলিয়ে মোট মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ২০ হাজার ২৯৪টি।


এর আগে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ২০২১ সালের তথ্য সংগ্রহ করেছিল। ব্যানবেইসের প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় মোট ১ কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার ২২ শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ২ লাখ ৫২ হাজার। অর্থাৎ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর শিক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৬২ হাজার।


মাউশি দেশের সব বিদ্যালয়ের কাছেই তথ্য চেয়েছিল। তবে তথ্য দিয়েছে ১১ হাজার ৬৭৯টি। এগুলোয় গত বছর মোট শিক্ষার্থী ছিল প্রায় ৬৬ লাখ ৫০ হাজার, যা ২০২০ সালে ছিল ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার। এই তথ্য বলছে, বিদ্যালয়গুলোয় করোনার মধ্যেও প্রায় ৯৩ হাজার বেড়েছে শিক্ষার্থী।


করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীর ক্লাস–পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। টানা প্রায় ১৮ মাস পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে সশরীর ক্লাস শুরু হয়। করোনার কারণে গত বছরের নভেম্বরে মাধ্যমিকে (ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি) বার্ষিক পরীক্ষা এবং দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা হয় মাত্র তিন বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত)।


মাউশি বলছে, গত বছর বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল প্রায় ৬১ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। অনুপস্থিত ছিল ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৫ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহ ও ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ শিশুশ্রমে যুক্ত হওয়ায় বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us