পানির ওপর নাম জীবন। কিন্তু পরিবেশ দূষণের কারণে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যাদের সামর্থ্য আছে তারা বাজার থেকে ফিল্টার কিনে পানি বিশুদ্ধ করে খান। আর যারা ফিল্টার কিনতে পারেন না তারা কলের পানি পান করেন। ডাক্তাররা জন্ডিস, টাইফয়েড এবং ডায়রিয়ার মতো জলবাহিত রোগ প্রতিরোধে ফুটিয়ে পানি পান করার পরামর্শ দেন।
এদিকে, কল থেকে সরাসরি আসা পানি পান করা স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ পাইপগুলোর মাধ্যমে যে পানি বাসাবাড়িতে আসে তা পরিষ্কার নয়। কল থেকে বাসাবাড়িতে আসা পানি বিশুদ্ধ নাও হতে পারে। তাই জেনে নেওয়া প্রয়োজন ফিল্টার করা নাকি ফুটানো পানি পান করা প্রয়োজন।
ফুটানো পানি
পানির ফুটানোর মূল উদ্দেশ্য হলো এতে থাকা জীবাণুকে মেরে ফেলা। যখন পানি ফুটানো হয় তখন পানিতে থাকা অণুজীবগুলো মারা যায়। সেই অদৃশ্য জলবাহিত ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াগুলোকে জীবাণুমুক্ত করতে পানি সর্বনিম্ন ২০ মিনিট ধরে ফুটাতে হবে। যদি এর চেয়ে কম সময় ধরে ফুটান তবে পানি পানের জন্য নিরাপদ নয়। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন, ফুটানোর পর পানিতে থাকা ময়লা এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ দূর হয়ে যায়- তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। পানি ফুটালে সীসা, আর্সেনিক, ম্যাগনেসিয়াম এবং নাইট্রেটের মতো উপাদান দূর করে না।
ফিল্টার করা পানি
ফুটানো পানির তুলনায় ফিল্টারের পানি পান করা নিরাপদ বলে মনে করা হয়। একটি পানির ফিল্টার দূষিত বা কলের পানি থেকে ময়লা, রাসায়নিক এবং অণুজীব মেরে ফেলতে পারে এবং প্যাথোজেন-মুক্ত করে তোলে। আরও ও ইউভি যুক্ত ওয়াটার পিউরিফায়ার পানিকে বিশুদ্ধ করতে এবং পানযোগ্য করে তুলতে সাহায্য করে।