যে শিশুকে জন্মের পর বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য ঘুম খাওয়া হারাম করেন মা, একদিন সময় আসে তাকেই বুকের দুধ ছাড়ানোর। কারণ, তখন তার পুষ্টি নিশ্চিত হবে বাড়তি খাবারে, বুকের দুধের প্রয়োজনীয়তা তখন ফুরিয়ে যায়। বুকের দুধ ছাড়ানোর সেই ক্ষণটা মা ও সন্তান দুজনের জন্যই কষ্টকর হয়ে থাকে। চেষ্টা করতে গিয়ে মায়ের মন কেঁদে ওঠে। তবুও নিয়ম মেনে চলতে হয় সবাইকে। আর এই পরিবর্তনটুকু কিভাবে সহজে করবেন তাই আজ আলোচনা করা হবে। জেনে নিন বুকের দুধ ছাড়ানোর সময় করণীয়-
১. সময় নির্বাচনটা খুবই জরুরি। মাকে মনস্থির করতে হবে এবং শিশুকেও প্রস্তুত করতে হবে। এমন একটা সময় বেছে নেবেন যখন শিশুর জীবনে আর কোনো নতুন পরিবর্তন না হয়। যেমন, বাসা পরিবর্তন, পটির অভ্যাস করানো বা নতুন শিশুর আগমন। আর এ কাজে পরিবারের সহযোগিতা খুবই জরুরি।
২. হুট করে বুকের দুধ বন্ধ না করে আস্তে আস্তে সময় ও কয়েক বারে কমিয়ে আনবেন। প্রথমে দিনের বেলায় ও পরবর্তীতে সময় নিয়ে রাতের বেলায়ও বন্ধ করতে হবে। এতে মায়েরও সুবিধা হবে, বুকের দুধ জমে ব্যথা বা ঘা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৩. বুকের দুধ বন্ধ করার জন্য বিকল্প কিছু দিন। সেটা হতে পারে গরুর দুধ, সয়ামিল্ক, হালকা কোনো নাস্তা কিংবা শিশুকে গান বা গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়ানো। এমনকী কাপে করে ফর্মুলা বা পানিও দেয়া যেতে। শিশু কোনো খাবার খেতে না চাইলে তা খাওয়ার জন্য তাকে জোর করবেন না।
৪. প্রতিদিনের রুটিনে পরিবর্তন আনুন। যে সময়টা শিশু বুকের দুধ খায়, ওই সময় তাকে অন্য কোনোভাবে ব্যস্ত রাখুন। সকালে ঘুম ভেঙে দুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, ঘুম থেকে আগেই উঠে যান ও শিশুকে নিয়ে নাস্তা খেতে বসুন। দুপুরে বা বিকালে শিশুকে খেলা দিয়ে বা বাইরে ঘুরিয়ে আনুন। রাতে বাবা বা পরিবারের অন্য কাউকে দিয়ে শিশুকে ঘুম পাড়িয়ে দিন।
৫. মনোযোগ অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিন যেন শিশু বুকের দুধ খাওয়ার কথা মনে না করে। খেলনা, ছড়ার বই, গল্পের বই, গান শুনিয়ে বা বাইরে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে সহজেই শিশুর মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে দিতে পারেন।