হাতিরঝিল হয়ে গুলশান ও বনানী লেক দিয়ে নৌ চলাচলের সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা এবার প্রকল্পে গড়িয়েছে; যেটির আওতায় সংযোগ সড়কগুলোতে বিদ্যমান কালভার্ট ও সেতু ভেঙে করা হবে নতুন সেতু।
পাশাপাশি লেকের পানি বাড়ানো হবে যাতে প্রস্তাবিত নৌপথে বছরজুড়ে চলাচল নির্বিঘ্ন থাকে; যা রাজধানীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চাপ কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে লেক ও আশপাশের এলাকার উন্নয়নও করা হবে প্রকল্পের আওতায়; থাকবে বিনোদনের ব্যবস্থা। লক্ষ্য হাতিরঝিলের মত দৃষ্টিনন্দন কেন্দ্ররূপে গড়ে তোলা।
দীর্ঘদিন থেকে আলোচনায় থাকা রাজধানীর কেন্দ্রের এই তিন জলাশয় ঘিরে চলাচলের পথ খুললে বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাদের নগরীতে দৈনন্দিন যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্য যেমন আসবে, তেমনি সময় ও অর্থ সাশ্রয় হওয়ার কথা বলে আসছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
“আমি নিজেই চিন্তা করি গুলশান এক নম্বর সড়কে ব্রিজ করে এটা চালু করে দিলে বিশাল একটা নৌরুট হবে। এই এলাকার বাসের ওপর চাপ কমবে। নৌকায় খুব আরাম হবে। যানজট হবে না,” এক হাজার ৩০০ কোটি টাকার এ প্রকল্প নিয়ে আশাবাদী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এভাবেই বলছিলেন তার প্রত্যাশার কথা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, এজন্য নকশা তৈরিসহ অনেক কাজই এগিয়ে রেখেছে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া উত্তর সিটি করপোরেশন। এখন সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত হাতিরঝিলের উপশাখা খাল (বনানী-হাতিরঝিল-নড়াইখাল) সংস্কার, পানি প্রবাহ বৃদ্ধি, নৌ যোগাযোগ ও বিনোদন সুবিধার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ শীর্ষক এ প্রকল্প প্রস্তাব গত ১২ জানুয়ারি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
হাতিরঝিলের সঙ্গে যুক্ত করে নৌ চলাচলের ব্যবস্থা করতে প্রকল্পের আওতায় ছয়টি সেতু করা হবে। একই সঙ্গে দুটি ইউলুপ ও একটি ওভারপাস করা হবে।
বর্তমানে লেকগুলোকে যুক্ত করা নিকেতন-গুলশান সড়ক, মহাখালী থেকে গুলশান ১ নম্বর সড়ক, বনানী থেকে গুলশান ২ নম্বর সড়ক, গুলশান ১ নম্বর থেকে বাড্ডা লিংক রোডের চারটি কালভার্ট ভেঙে সেখানে উঁচু করে সেতু করা হবে।
এছাড়া গুলশান ২ নম্বর থেকে বারিধারা সড়কের থেকে সেতুটিও ভেঙে আরও উঁচু করা হবে। আর গুলশানের মানারাত স্কুল থেকে শাহজাদপুর সড়কে আরও একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে প্রকল্পে।