‘চোরা নাহি শুনে ধর্মের কাহিনী’

জাগো নিউজ ২৪ মোস্তফা হোসেইন প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২২, ০৯:৫৮

শৈশবে গ্রামে দেখেছি সিঁধেল চুরি আর গরু চুরির হিড়িক। আজ রাতে এই বাড়িতে সিঁধ কেটেছে তো কাল ওই বাড়ির। আজ এই বাড়ির গোয়াল ফাঁকা হয়েছে তো কাল ওই বাড়ির। তবে গরু চুরির বিষয়ে ভিন্নতর একটা দৃশ্যও আমাদের চোখে পড়তো। তা হচ্ছে, গৃহস্থ জেনে যেতেন তার চুরি হওয়া গরুটি কোথায় এবং কার কাছে আছে।


কারণ চোর গরু চুরি করে নিয়ে তার বাড়িতে গরু রাখতো না। রাখতো তার নিজস্ব এবং বিশ্বস্ত কারও বাড়ি। কোনো সূত্রে গরু চোর গৃহস্থকে জানিয়ে দিতো তোমার গরু কাল এই সময় পর্যন্ত এমুকের বাড়িতে থাকবে। গৃহস্থ দৌড়াতো ওই বাড়ি এবং গরুগুলোর জন্য কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসতো। চোরের হাত থেকে যে ব্যক্তি এই গরুগুলো রাখতো তাকে বলা হতো ‘থাইব্বলদার’।


পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আজকাল এই ‘থাইব্বলদারদের’ আর দেখা পাওয়া যায় না। মনে হচ্ছে, গ্রামবাংলার থাইব্বলদাররা এখন উন্নত দেশে স্থানান্তর হয়েছে। আর গরু চোররা রয়ে গেছে বাংলাদেশে। এই থাইব্বলদার হচ্ছে সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশের কিছু ব্যাংক। তবে বাংলাদেশের অর্থচোরদের লেবাস যে গরুচোরদের মতো নয় সেটা তো সহজেই বোঝা যায়। বাংলাদেশের ওই লোকগুলো তাদের অবৈধ আয়ের টাকা এখন মালয়েশিয়া কিংবা সুইস ব্যাংকে জমা রাখছে। জমাকৃত অর্থ থেকে অর্জিত মুনাফা বাংলাদেশের আমানতকারীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে খায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো।


বাংলাদেশে যখন ডলার সংকট চলছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটকালে, বাংলাদেশ যখন তেলের দাম বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। ঠিক তখন হাজার হাজার কোটি টাকা সেই থাইব্বলদারদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে দেশকে অচল করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। তবে ‘চোরা নাহি শুনে ধর্মের কাহিনী’ বলে একটা কথা আছে। বাংলাদেশেও তাই হচ্ছে। প্রতি বছরই অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকার পরিমাণ শুধু বাড়ছেই। যতই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হোক না কেন, যতই সংশোধনের আহ্বান জানানো হোক না কেন টাকা পাচার বন্ধ হচ্ছে না। পাচারকারীদের কানে যেন তুলো দেওয়া হয়েছে।


গণমাধ্যমে সংবাদ হচ্ছে, এবছর আগের বছরের তুলনায় অত কোটি টাকা বেশি পাচার হয়েছে। ওই যে গরুচোররা থেকে যেতো অন্ধকারে, হাল আমলের টাকা চোরেরাও থেকে যায় অন্ধকারে। ‘থাইব্বলদার’ আবার আইনগতভাবে নিজেদের ‘থাইব্বলদারি’ বাণিজ্য ঠিকই করে যেতে পারছে। মাঝখান থেকে সম্পদ হারাচ্ছে গৃহস্থ অর্থাৎ এখনকার বাংলাদেশ। ভাবা যায়! বাংলাদেশ থেকে সুইস ব্যাংকেই জমা আছে ৮ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।


প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, এই পাচারকৃত অর্থ আগের বছরের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। মনে করার কারণ নেই, ওই সময় শুধু এই ৩ হাজার কোটি টাকাই বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। বাস্তবতা হচ্ছে- এখানে শুধু সুইস ব্যাংকের তথ্যই জানা গেছে। কিন্তু এশিয়ার একাধিক দেশেও এভাবে বাংলাদেশ থেকে টাকা যাচ্ছে। আর সেই ‘থাইব্বলদারদের’ নামও জানতে পারছে না বাংলাদেশের মানুষ।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us