বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে সমালোচনার মুখে ওয়েবিল প্রথা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছিল ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। তারা বলেছিল, ঢাকা ও এর আশপাশের শহরতলির বাসে রাস্তায় কোনো পরিদর্শক (চেকার) থাকবে না। রুট পারমিটে বর্ণিত বাসস্ট্যান্ডের বাইরে থামিয়ে যাত্রী তোলা যাবে না।
এ ঘোষণা রাজধানীতে কার্যকর হতে দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবারও যেখানে–সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী তোলা হয়েছে। এক বাসস্ট্যান্ড থেকে অন্য বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চলাচলের সময় বাসের দরজা বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও পুরো যাত্রাপথে দরজা খোলা রেখে চলেছে বাস। ভাড়াও নেওয়া হয়েছে ইচ্ছেমতো। এক দিন আগেই বুধবার ওয়েবিল প্রথা বাতিল করার ওই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
গত সোমবার ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি এক বৈঠক করে ওয়েবিল প্রথা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। বুধবার এ–সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে জানিয়ে বলা হয়, ওই দিন থেকেই তা কার্যকর হবে।
শিকড় পরিবহন নামের একটি বাসে করে বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদক মিরপুর ১১ নম্বর সেকশন থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত যান। ১২ কিলোমিটারের এই যাত্রাপথে বাসটিকে অন্তত ২৩ স্থান থেকে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে। আড়াই ঘণ্টার যাত্রার পুরো সময় বাসটির দরজা খোলা ছিল।
বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মিরপুর ১১ নম্বরে নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের স্টেশনের সামনে থেকে শিকড় পরিবহনের বাসে ওঠেন এই প্রতিবেদক। মিরপুর ১২ নম্বর থেকে আসা বাসটির গন্তব্য ছিল যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত। এই প্রতিবেদক যখন বাসে ওঠেন তখন ২৫টি আসনের মধ্যে ১৭টিতে যাত্রী ছিলেন। বাসে ওঠার পর ৩০ সেকেন্ডের মাথায় যাত্রী তুলতে বাসটি থেমে যায়। এরপর ২৫ সেকেন্ডের মধ্যে আবারও বাস থামিয়ে যাত্রী তোলা হয়। এভাবে মিরপুর ১১ থেকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর পর্যন্ত সোয়া এক কিলোমিটার পথে অন্তত ৮টি স্থান থেকে যাত্রী তুলেছে বাসটি।