দিনের প্রায় পুরো ভাগই ছিল রোদ। কিছু সময় আকাশ মেঘলা হলেও বৃষ্টির দেখা মিলেনি। তবুও পানিতে ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ও অলিগলি। কয়েক ঘণ্টার জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে ছিলেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। কর্ণফুলী নদীর জোয়ারে গোড়ালি থেকে হাঁটু পানিতে তলিয়েছে এসব এলাকা।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে পানি ওঠা শুরু হয়। বিকেলে নেমে যায়। বাসা-বাড়ির পাশাপাশি দোকান ও গুদামেও পানি ঢুকেছে। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ থাকায় পানির উচ্চতা ছিল বেশি। নালা-নর্দমা ও খাল পরিষ্কার না থাকার কারণে এই জলাবদ্ধতা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, চকবাজার, চাক্তাইয়ের সোবহান সওদাগর সড়ক ও মকবুল সওদাগর সড়ক, খাতুনগঞ্জ, রাজাখালী, ডিসি রোড, ফুলতলা, বাকলিয়া, পাথরঘাটার আশরাফ আলী সড়ক জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়। এসব এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালগুলো যুক্ত হয়েছে কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে। জোয়ারের পানি কর্ণফুলী নদী হয়ে খালগুলোর ভেতরে প্রবাহিত হয়ে দুই পাশ উপচে আশপাশের এলাকা তলিয়ে যায়।
অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় জোয়ারে নিয়মিত ডুবে আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিক এলাকা। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। এ প্রসঙ্গে আবাসিক এলাকাটির বাসিন্দা মো. কালাম বলেন, নগরে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলছে। তবুও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলছে না। বৃষ্টি হলে তো ডুবতেই হয়। প্রতি পূর্ণিমা-অমাবস্যায়ও ডুবতে হয়।
একই চিত্র নগরের চকবাজার মুহাম্মদ আলী শাহ দরগাহ লেইনেও। এখানে বৃষ্টিতে বাসায়ও উঠে যায় কোমর সমান পানি। জোয়ারে হাঁটু পানি। বৃহস্পতিবার দুপুরেও এখানকার রাস্তায় ছিল গোড়ালি পরিমাণ পানি। এখানকার বাসিন্দা আবদুল হামিদ বলেন, নিয়মিত পৌর কর নিচ্ছে সিটি করপোরেশন। কিন্তু জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান করে না। এখানকার নালাগুলোতেও স্ল্যাব নেই। যেকোনো সময় শিশুরা দুর্ঘটনায় পড়তে পারে। স্থানীয় কাউন্সিলর ও সিটি মেয়রকে একাধিকবার জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, চট্টগ্রামের জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে খালগুলোর মুখে স্লুইস গেট নির্মাণের কাজ চলছে। এগুলো চালু হয়ে গেলে আর এই দুর্ভোগ থাকবে না।