৩৯.১ শতাংশ সদ্য মা-ই পোস্টপারটাম ডিপ্রেশনে ভোগেন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২২, ১৮:২৪

পোস্টপারটাম ডিপ্রেশন একটা মানসিক সমস্যা। সাধারণত সন্তান জন্মের কয়েক দিনের মধ্যে নতুন মায়েদের এটা হয়ে থাকে। সঠিক চিকিৎসা, যত্ন ও পরিচর্যা না পেলে এটি চরম আকার ধারণ করতে পারে। কেবল ভুক্তভোগীই নন, তাঁর গোটা পরিবারও সেই ক্ষতি বহন করে। আমাদের দেশের প্রায় ৩৯ শতাংশ নতুন মা-ই এ সমস্যার ভেতর দিয়ে যান। সম্প্রতি রাজধানীর বনানী ক্লাবে আয়োজিত ‘হাউ টু ডিল উইথ পোস্টপারটাম ডিপ্রেশন অ্যান্ড ডমেস্টিক ভায়োলেন্স’ শিরোনামের এক সেমিনারে এসব জানা গেল। মূলত গর্ভবতী নারী এবং সদ্য যাঁরা মা হয়েছেন, তাঁদের মা হওয়ার যাত্রাপথে মানসিক যে যুদ্ধ বা সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয়, সেটিকে মাথায় রেখেই আয়োজন করা হয় এই সেমিনার।


সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড হাসপাতালের গাইনোকলজিস্ট এবং ‘মম ফর মম’-এর উপদেষ্টা ডা. নাসিম মাহমুদ। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ও ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) চেয়ারপারসন ফাউজিয়া করিম ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মাহমুদা।


সেমিনারে বক্তারা বলেন, পোস্টপারটাম ডিপ্রেশন যে একসময় ব্যাধিতে পরিণত হতে পারে, বাংলাদেশের মানুষের জন্য তা একেবারেই নতুন একটি ধারণা। এটি যে মানসিক সমস্যা তৈরি করতে পারে, অনেকেরই তা জানা নেই। আর তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে আলোচনা হওয়া দরকার। সেমিনারের শুরুতে ডা. নাসিম মাহমুদ জানান, বিশ্বে পোস্টপারটাম ডিপ্রেশনে ভোগা নারীর সংখ্যা ২৯-৪০ শতাংশ। আমাদের দেশে সেই সংখ্যাই প্রায় ৩৯.১ শতাংশ। ডিপ্রেশনের ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে শারীরিক কারণের পাশাপাশি আরও বিষয়কে দায়ী করেন বক্তা, যেমন বাড়তি উপার্জনের মানসিক চাপ, পরিবারের নানা রকম কাজের চাপ, কর্মজীবী নারীদের ক্ষেত্রে বাড়তি হিসেবে আছে কর্মস্থলের মানসিক চাপ ও ক্লান্তি।


দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে ফ্লাডের চেয়ারপারসন ফাউজিয়া করিম বলেন, পারিবারিক সহিংসতা ও পোস্টপারটাম ডিপ্রেশনের সম্পর্ক অনেকটা ‘কজ অ্যান্ড ইফেক্ট’-এর মতো। তাঁর মতে, পারিবারিক সহিংসতার যে নানা ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত সমাজে ঘটে চলেছে, তা মোকাবিলা করার জন্য প্রচলিত আইনগুলো পর্যাপ্ত নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০-এর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা তিনি তুলে ধরেন। তিনি জানান, এই আইন অনুযায়ী পারিবারিক মামলাগুলো ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে শুনানি হয়। কিন্তু সেখানকার বিচারকদের এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। ফলে অল্প সময়ে সঠিক বিচার পাওয়া সম্ভব হয় না। পারিবারিক সহিংসতার মামলায় দ্রুত বিচার পেতে সময়ের সঙ্গে আইনটি সংশোধনের বিকল্প নেই বলেও তিনি মত দেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us