বিশ্বখ্যাত দার্শনিক বার্টান্ড রাসেল বলেছেন, যুদ্ধ কখনো সভ্যতার সংকট সমাধানের রাস্তা হতে পারে না। শুধু কিউবা ও ভিয়েতনামের ক্ষেত্রেই নয়, ১৯৬২ সালের শেষের দিকে ভারত-চীন সীমান্ত সংঘাত যাতে যুদ্ধ এবং সর্বগ্রাসী বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগিয়ে না যায়, তার জন্য রাসেলের উদ্বেগের শেষ ছিল না। তিনি জওয়াহেরলাল নেহরু ও চৌ এন লাইকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে নিতে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি নেহরুকে চিঠি লিখেছিলেন এবং নেহরু সেই চিঠির জবাবও দিয়েছিলেন।
পরবর্তী সময়ে সীমান্ত যুদ্ধে সাফল্য সত্ত্বেও চীনের একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকেও রাসেল অভিনন্দিত করেছিলেন। রাসেলের লেখা ‘আনআর্মড ভিক্টরি’ গ্রন্থ থেকে এ ব্যাপারে সবিস্তার জানা যায়। রাসেল বলেছেন, ‘ভারত-চীন বিবাদ এটা বুঝিয়ে দিয়েছে যে ক্ষুদ্র সীমান্ত সংঘর্ষ ক্রমে একটা বড় আকার নিয়ে নিতে পারে। ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অস্ত্র সাহায্যের আবেদন করে ভারত তার স্বাধীন শক্তির মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করেছে। এখনো অবধি অনুমান করা যাচ্ছে না যে ব্রিটেন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবে কি না। যুদ্ধ হতেও পারে। সে ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে চীন তার বিরোধ মিটিয়ে হয়তো লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেবে। তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ তো অনিবার্য হয়ে যাবে। ’ চিন্তিত ছিলেন রাসেল।