রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। রাশিয়া থেকে পশ্চিমা দেশগুলো এরই মধ্যে গ্যাস ও জ্বালানি তেল আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয় চাহিদা পূরণে দেশগুলো বিকল্প উৎস থেকে গ্যাস সরবরাহের চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গ্যাসের দাম বাড়ছে। বিপরীতে তুলনামূলক সস্তা হওয়ায় বাড়ছে কয়লার চাহিদা। চলতি বছর জ্বালানিটির বৈশ্বিক চাহিদা কিছুটা বেড়ে এক দশকের রেকর্ড স্পর্শ করতে পারে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)।
কয়লার বাজারবিষয়ক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, চলতি বছর কয়লার বৈশ্বিক ব্যবহার দশমিক ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়াবে ৮০০ কোটি টনে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কভিড পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের মতো শ্লথ হয়ে পড়েছে চীনের অর্থনীতির চাকা। তবে বছরের দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতি বদলাবে। অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পুনরুদ্ধার ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি কয়লার চাহিদা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করবে। ২০১৩ সালের রেকর্ড স্পর্শ করবে কয়লার বৈশ্বিক চাহিদা। আগামী বছর চাহিদা আরো বেড়ে অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আইইএ।