ডলারের বাজারে মারাত্মক সংকট চলছে। বাজারে ডলারের তেজ না কমে উল্টো লাগামহীন হয়ে পড়েছে। এর মূলে রয়েছে ডলারের ভাসমান রেট। বিশেষ করে ব্যাংক ও ডলার ব্যবসায়ীরা ভাসমান রেটের সুযোগ হাতিয়ে নিতে মরিয়া। গতকাল ব্যাংকগুলো ঋণপত্রের বিল পরিশোধের জন্য আমদানিকারকদের কাছ থেকে ১১১-১১৪ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। আর রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে ডলার ক্রয় করেছে ৯৩ থেকে ৯৪ টাকা হারে। এতে ব্যাংকগুলো প্রতি ডলার ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ করেছে ২০-২১ টাকা। আর গতকাল খোলাবাজারে ডলার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে ১১৪-১১৫ টাকা। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার বিক্রয়ের রেট ছিল ৯৪ টাকা ৮৫ পয়সা।
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলারের ভাসমান দরে ব্যবসায়ীদের জন্য উদ্বেগময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ব্যাংকগুলো আমদানির সময় বেশি রেট রাখছে আবার রপ্তানির সময় কম দামে দিচ্ছে। ব্যাংকগুলো আমদানির জন্য আমাদের কাছ থেকে খোলাবাজারের ডলারের রেটে (১১৫ টাকা) আদায় করছে। আর রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের চলমানে রেটের চেয়ে (৯৪ টাকা ৮৫ পয়সা) এক টাকা কম দিচ্ছে। ব্যাংকগুলো এখন ডলারের ভাসমান রেটের সুযোগ নিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত হবে ১ টাকার ব্যবধান রেখে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য ডলারের দাম বেঁধে দেওয়া।