এই মুহূর্তে ডলার সংকটে অর্থনীতিতে হাঁসফাঁস অবস্থা। এতে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত, নানামুখী সংকটে আবার ফিরে এসেছে সেই পুরনো দিনের লোডশেডিং। কথায় আছে, ‘আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খবর নিয়ে লাভ কী?’ মুশকিল হলো ডলার সংকটে ‘আদার ব্যাপারীরা’ বিপর্যস্ত হলেও, ‘জাহাজীদের’ ওপর এর প্রভাব সামান্যই। বরঞ্চ জাহাজীদের মর্জির ওপরই আদার ব্যাপারীরা অনেক বেশি নির্ভরশীল। অবস্থাটা এমনই যে ডলার নিয়ে যাদের কারবার নেই তারাই এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। আর ডলার নিয়ে যাদের নিত্যদিনের কারবার তারা অনেকটাই যেন দুশ্চিন্তার বাইরে। তারা তো আর নুন আনতে পান্তা ফুরানো অবস্থায় নেই।
এটাই বাস্তব দুনিয়া! এই দুনিয়ার সামনে থেকে যতটা দেখা যায়, অন্তরালে তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি কথা থেকে যায়। সেগুলোই অনেক সময় আসল কথা, বাকিগুলো মেকি। ডলার এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক মুদ্রা। বিশ্বের বেশিরভাগ ব্যবসা-বাণিজ্য হয় ডলারে। দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে ডলার বিশ্বব্যাপী শক্তিশালী জায়গা তৈরি করেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের ক্ষমতার মঞ্চে পশ্চিমাদের নেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের যে আবির্ভাব তা ডলারকে এই শক্তিশালী অবস্থান ও ভিত্তি গড়ে দিয়েছে।