ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের পর থেকে বিশ্বব্যাপী মুদ্রার ব্যাপক দরপতনে বেশির ভাগ দেশ বিকল্প মুদ্রাব্যবস্থায় প্রবেশের চেষ্টা করছে। বিশ্বব্যাপী এই চেষ্টার অংশ হিসেবে নিজেদের পর্যটকমুখর অঞ্চল সান্তা লুসিয়ায় ‘বিটকয়েন ভ্যালি’ নামে একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে হন্ডুরাস। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল মুদ্রার দৌড়ে শামিল হতে যাচ্ছে দেশটি। প্রাথমিকভাবে তেগুসিগালপার ৬০ ধরনের ব্যবসার ওপর নজর দিচ্ছে হন্ডুরাস প্রশাসন।
নিজেদের পণ্য ও সেবা সহজে বাজারে আনতে ব্যবসায়ীদের ক্রিপ্টো মুদ্রায় মানিয়ে নিতে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। প্রকল্পটি সফলতার মুখ দেখলে কাছাকাছি এলাকাগুলোতেও ক্রিপ্টো মুদ্রার সেবা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। বিটকয়েনের দামের ওঠা-নামার ব্যাপারটিকে মাথায় রেখে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দ্রুত ক্রিপ্টো মুদ্রাগুলোকে স্থানীয় মুদ্রায় পরিবর্তন করে নিতে বলা হয়েছে।
বিটকয়েনের অনুমোদন দেওয়া প্রথম পর্যটন স্পট অবশ্য তেগুসিগালপার নয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিটকয়েনকে আনুষ্ঠানিক মুদ্রা হিসেবে গ্রহণ করেছিল এল সালভাদর। এল সন্তের একটি বিচ ‘বিটকয়েন বিচ’ নামেও পরিচিত, যেটি পর্যটকদের কাছে সার্ফিংয়ের জন্য বেশ জনপ্রিয়। বিটকয়েন চালুর পর থেকে এল সালভাদরে পর্যটন বেড়েছে ৩০ শতাংশ।
হন্ডুরাসের এই উদ্যোগে যৌথ সহায়তা দিচ্ছে ‘ব্লকচেইন হন্ডুরাস’, ‘দ্য গুয়াতেমালান ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ কনসোর্টিয়াম’, ‘কয়েনস্যাক্স’, ‘দ্য টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব হন্ডুরাস’ এবং সান্তা লুসিয়ার পৌর কর্তৃপক্ষ। তবে বিটকয়েনকে অনুমোদন দেওয়ার কারণে এল সালভাদর এবং হন্ডুরাসের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।