বর্তমানে ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ও প্রচলন থাকলে ত্রিপুরা সন হবে ১৪৩২। সেই হিসেবে মসজিদটির বর্তমান বয়স ১১০৯ বছর।
মসজিদটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়। এখনো অক্ষত ওই মসজিদটি পৌর এলাকার খড়মপুরের শাহ্পীর কল্লা শহীদ মাজারে অবস্থিত। তবে পাশেই বিশালাকার নতুন মসজিদ হওয়ায় হাজার বছরের পুরোনেটিতে এখন আর নামাজ পড়া হয় না। প্রতিদিন সকালে শিশুদেরকে ধর্মীয় পাঠ দেওয়া হয় মসজিদটিতে।
মসজিদে সনের সঙ্গেই লেখা থাকা ‘ত্রিপুরা’ হলো অঞ্চলের নাম। এক সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যেরে অধীনে ছিলো এ আখাউড়া এলাকা। যে কারণে মসজিদের স্থাপনা সনের সঙ্গে ত্রিপুরা লেখা আছে বলে স্থানীয়দের ধারনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাজারের মূল অংশের উত্তর পূর্ব দিকে মসজিদটির অবস্থান। এখনো বেশ পরিপাটি। গম্বুজটি বেশ সুন্দর, মুজাইক করা। চুন, সুড়কির দেয়ালে আছে হালকা কারুকাজ। প্রবেশ প্রথের দরজাটি তুলনামূলক নিচু। আধুনিকায়ন করতে গিয়ে মসজিদের মূল ভবনের সামনের অংশ টিনশেড দিয়ে বাড়ানো হয়েছে। এর সামনেই অজু করার জায়গা। পুরাতন মসজিদটির পূর্ব পাশ ঘেঁষেই নতুন মসজিদ। পেছনের দিকে পুরাতন কোরআন শরীফ মাটি দেওয়ার জায়গা, যেটি অনেকটা সংরক্ষিত। মসজিদের দেয়াল ও গম্বুজের পুরুত্ব সাধারণের চেয়ের অনেক বেশি। মসজিদের পাশেই মাজারের রীতি অনুযায়ী লাল নিশানা উড়ানো আছে।
মসজিদ নির্মাণের সন সম্পর্কে স্থানীয়দের কাছ থেকে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে মসজিদের গায়ে লেখা থাকা সন ৩২৩ লেখা থেকেই এর নির্মাণ সম্পর্কে ধারণা দেন স্থানীয়রা। মসজিদটি হাজার বছরের পুরো বলেই তাঁরা একমত পোষণ করেন।
উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, ঐতিহাসিকভাবে ত্রিপুরা সন ব্রিটিশ রাজের অধীনে ‘তিপ্রা’ রাজ্যের সব সরকারি বিষয়ে প্রচলিত ছিল। ১৯৪৯ সালে ভারতের প্রজাতন্ত্রে ত্রিপুরার যোগদানের সঙ্গে সঙ্গে ত্রিপুরী বর্ষপঞ্জির আনুষ্ঠানিক ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়।