চুষে খাবেন, নাকি চিবিয়ে?

আজকের পত্রিকা অর্ণব সান্যাল প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২২, ১৫:৫২

কথা হচ্ছিল আমজনতাকে নিয়ে। জনতার আগে আম যেহেতু আছে, সেহেতু ফল হিসেবে একে কামড়েও খাওয়া যায়, চুষে আঁটিটা ছিবড়ে করে দেওয়াও সম্ভব। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতের একটু আগে এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে হুট করেই বাড়িয়ে দেওয়া হলো জ্বালানি তেলের দাম। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে, কিন্তু ডলারের সংকট ও বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়েই দেশে জ্বালানি তেলের দাম প্রতি লিটারে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। শুক্রবার রাত ১২টা থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে। এখন ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য হবে প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, পেট্রল ১৩০ ও অকটেন ১৩৫ টাকা। শতাংশের হিসাবে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৮০ টাকা থেকে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। একইভাবে পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ৫১ দশমিক ১৬ এবং অকটেনের দাম ৮৯ টাকা থেকে ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।


এতেই ক্ষান্ত নয় কর্তৃপক্ষ। সরকারি সূত্র আভাস দিয়েছে, জ্বালানি তেলের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তবে সরকার এই মূল্যবৃদ্ধিকে সমন্বয় হিসেবে দেখাতে চাইছে। কিন্তু সাধারণদের আয় ও ব্যয়ের সমন্বয় কীভাবে হবে?


অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছে, আমজনতা এতসব সিদ্ধান্ত শুনতে শুনতে হাসবে নাকি কাঁদবে, সেটি নির্ধারণ করতেই বিপদগ্রস্ত হতে পারে। অধিক শোকে পাথর হয়ে কোনো মানুষ হাসতেও পারে! কারণ আপনি যদি এমন মাত্রায় অসহায় হয়ে পড়েন, যেখানে আপনার গর্ত থেকে উত্তরণের কোনো উপায়ই আর মাথায় আসছে না, তখন বিকারগ্রস্তের মতো অট্টহাসি দেওয়া ছাড়া আর কীইবা করার থাকে?


কারণ ব্যয় যেভাবে বাড়ছে, আপনার আয় সেভাবে বাড়ছে না। সামগ্রিক অর্থে শ্রমিকের বেতন বাড়ানোর বা স্বার্থ সংরক্ষণের কোনো কার্যকর উদ্যোগ এ দেশে নেই। নেই তাঁদের আয়-ব্যয় সমন্বয়ের কোনো উদ্যোগও। সরকারি শ্রমিকেরা তা-ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তা জালের ভেতরে থাকেন। তাঁরা সরকারি বাসা পান, কেউ কেউ রেশনও পান। অর্থাৎ, নানাভাবে তাঁদের টিকে থাকার রসদ জোগায় খোদ সরকারই, জনগণের টাকায়। কিন্তু বেসরকারি চাকরিতে যাঁরা থাকেন, তাঁদের পুরোপুরি বাজারব্যবস্থা ও মালিকশ্রেণির খেয়ালখুশির ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ দেশে অদ্ভুতভাবে শ্রেণিবিশেষে একাধিক নীতি অনুসরণের দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি দীর্ঘকাল ধরে। সুবিধা বুঝে কোথাও মুক্তবাজার অর্থনীতি অনুসৃত হয়, আবার কোথাও সংরক্ষণনীতি অনুসরণ করা হয় এবং তা করা হয় জেনে-বুঝে ঠান্ডা মাথায়! আর এভাবেই এ দেশে সৃষ্টি হয়েছে বৈষম্য এবং চুষে খাওয়ার যোগ্য মানুষের দল। স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয়টির পাল্লা বেজায় ভারী এবং আপাতদৃষ্টিতে ধারণা করা বাঞ্ছনীয় যে সেটিও ভেবেচিন্তেই তৈরি! 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us