২০২০ এর জানুয়ারি থেকে এ বছরের আজকের দিন পর্যন্ত বাংলা ছবি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে ১৬০টি। এর মধ্যে ৯৫টি ছবি এখনো মুক্তির অপেক্ষায়। এর বাইরেও অনেক নির্মাণাধীন ছবি রয়েছে যেগুলো সেন্সর পেলে এ সংখ্যা হবে শতাধিক। এতগুলো ছবি কবে, কীভাবে সিনেমা হলে আসবে তা কেউ জানে না। সেন্সর বোর্ডের গত তিন বছরের ছবির ছাড়পত্রের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এ বছরের মার্চে রেকর্ড ৪৩টি বাংলা ছবি ছাড়পত্র পেয়েছে। এক মাসে কীভাবে এত ছবি ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, তা বেশ প্রশ্নসাপেক্ষ। অবশ্য তা মানতে রাজি নন সেন্সর বোর্ডের সচিব মো. মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রতিটা ছবি ভালো করে দেখেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। না দেখে ছাড়পত্র দেওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। বোর্ড সদস্য প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু জানিয়েছেন, তারা প্রতিদিন ৪-৫টি করে ছবি দেখেছেন। এক্ষেত্রে অনেক সময় সব সদস্য সব সময় উপস্থিত থাকতে পারেননি। বোর্ডের ১৬ জন সদস্যের মধ্যে ১০ থাকলেই তবে শো চালানো হয়েছে।’ পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘আপনি তালিকায় দেখবেন অনেক ওয়েব সিরিজ, টেলিফিল্মও সিনেমা হিসেবে সেন্সর ছাড়পত্র নিয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই হলে মুক্তি পাবে না। আর ছবি চলবে ছবির মেরিটে। এরপরও বলতে পারি এ ছবিগুলো মুক্তি পেলে ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াবে। আর এগুলো চোখের পলকেই মুক্তি পেয়ে যাবে।’
হল মালিকরাও আশাবাদী। মধুমিতার কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদের মতে, এবারের ঈদে ‘দিন দ্য ডে’ ও ‘পরাণ’ যেভাবে ব্যবসা দিয়েছে হল মালিকদের এ ছবিগুলোর মধ্য থেকে প্রতি মাসে এক-দুটা ছবিও যদি ব্যবসাসফল হয় তাহলে আর হিন্দি ছবি আমদানি করে সিনেমা হল বাঁচানো লাগবে না। সেন্সর পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে সর্বাধিক ছবির প্রযোজক শাপলা মিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রযোজক অপূর্ব রায় জানালেন, তাদের ৩৭টি ছবি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। এর সবগুলোই তারা সিনেমা হলে মুক্তি দেবেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের সেন্সর পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে যেগুলো সিনেমা হলে চালানোর মতো সেগুলোই শুধু হলে মুক্তি দেব। এছাড়া বাকিগুলো বিভিন্ন ওটিটি ও টিভিতে মুক্তি দেব। আমাদের নিজস্ব ওটিটি সিনেবাজ ও আইপি টিভি ভয়েস টিভি রয়েছে।’