উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ওষুধ যেমন দরকার তেমনি প্রয়োজন জীবনযাত্রার নিয়ন্ত্রণ।
উচ্চ রক্তচাপ থেকে সৃষ্টি হয় ‘ব্লাড ক্লট’। যে কারণে রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালী আটকে যায়। আর সেখান থেকে দেখা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদি।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজিস্ট’ লুক লাফিন বলেন, “রক্তচাপের ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা যায় দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে। বাকি ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ প্রয়োজন হতে পারে।”
তবে দৈনন্দিন অভ্যাস যদি বদলাতে না পারলে ওষুধ কোনো কাজেই আসবে।
মানসিক চাপ: মানুষ রেগে গেলে বা কষ্ট পেলে তার রক্তচাপ বেড়ে গেছে বলে মনে হয়। এই অনুভূতি একবারে অবান্তর নয়। কারণ দুটোই মানসিক চাপ।
ডা. লাফিন ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “মানসিক চাপে পড়লে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হল রক্তচাপ বাড়ানো। মানসিক চাপগ্রস্ত পরিস্থিতিতে বেড়ে যায় হৃদস্পন্দনের গতি, অতিসক্রিয় হয়ে উঠে ‘সিম্ফ্যাটিক নার্ভাস সিস্টেম’। আর একারণেই বেড়ে যায় রক্তচাপ।”
শরীরের এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার ক্ষমতা আছে। তবে ক্রমাগত এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে শরীরের ক্ষতি হবে। আর সেটাই হল দুশ্চিন্তার বিষয়।
শরীরচর্চা: নিয়মিত শরীরচর্চা সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আবশ্যক।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্লিনিকাল এক্সারসাইজ সাইকোলজিস্ট এরিক ভ্যান ইটার্সন একই প্রতিবেদনে পরামর্শ দেন, “সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে এমন কোনো শারীরিক কসরত করুন যা আপনার হৃদস্পন্দনের গতি বাড়িয়ে রাখবে পুরো সময়টুকু। একটানা ৩০ মিনিট সময় দিতে না পারলে তিনবারে ১০ মিনিট করে ব্যায়াম করুন।”