শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের পেরিপ্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে ফ্লোর প্রাইস (দামের সর্বনিম্ন সীমা) বেঁধে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দামের পরিবর্তে ক্রয়মূল্যকে (কস্ট প্রাইস) বিবেচনায় নিতে সম্মতি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এসব পদক্ষেপের পর শেয়ারবাজারে টানা উত্থান প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্যে শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব কয়টি মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলো।
এর আগে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দিলে গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
রোববার (৩১ জুলাই) থেকে কার্যকর হয় এই ফ্লোর প্রাইস। এতে দাম সমন্বয় করায় রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়ে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। এতে টানা পতন থেকে বেরিয়ে একদিনেই ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ১৫৩ পয়েন্ট।
সোমবারও শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ৩০ পয়েন্ট বাড়ার পাশাপাশি লেনদেন বেড়ে ৯১২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। একই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান।
এরপর মঙ্গলবার (২ আগস্ট) লেনদেনের শেষ দিকে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দামের পরিবর্তে ক্রয় মূল্যকে বিবেচনায় নিতে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে। এতে একদিকে লেনদেনের গতি বাড়ে, অন্যদিকে সূচকের বড় উত্থান হয়।