চরম উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ান সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তার এই সফর ঘিরে যুদ্ধের শঙ্কাও করছেন বিশ্লেষকরা। উত্তেজনাকর এই সফর শেষে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে তাইওয়ান ছেড়েছেন তিনি। খবর বিবিসির।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারকে বহন করা উড়োজাহাজ সংশান বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছে। ২৪ ঘণ্টারও কম সময় স্থায়ী হয়েছে পেলোসির এ সফর।
তিনি এখন দক্ষিণ কোরিয়া যাবেন বলেও এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
বুধবার সফরকালে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের সামনে জড়ো হওয়া জনতার উদ্দেশ্যে পেলোসি বলেন, আমি খুব গর্বিত। আজ আমাদের প্রতিনিধিদল তাইওয়ানকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে এখানে এসছে। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে জানাতে চাই, তাইওয়ানের প্রতি করা প্রতিশ্রুতি থেকে আমরা নড়ব না এবং আমরা আমাদের এই অটুট বন্ধুত্বের জন্য গর্বিত।
চীনের কড়া হুমকির মধ্যেও মঙ্গলবার রাতে এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে তাইওয়ানে আসেন পেলোসি। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে চীন বলেছে, এ পদক্ষেপ ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’।
এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চীনকে দমাতে তাইওয়ানকে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা ক্রমাগত তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ বাড়িয়ে ‘এক চীন’ নীতি লঙ্ঘন করছে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উস্কে দিচ্ছে। এসব পদক্ষেপ আগুন নিয়ে খেলার মতো, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। যারা আগুন নিয়ে খেলা করে তারা এতে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
এ সফরকে কেন্দ্র করে বেইজিংয়ের প্রতিক্রিয়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী উভয়টিই হতে পারে বলে মনে করছেন তাইওয়ানের বিশেষজ্ঞরা ।