অসুস্থ ডলি বড়ুয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন থাকলেও বাদ সাধে পাসপোর্ট। ডলির পাসপোর্ট না থাকায় তিনি বিদেশে যেতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় ডলির পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন তার ছেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা রিপন বড়ুয়া। ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এ জন্য নির্ধারিত তিন হাজার ৪৫০ টাকা ফি জমা দেন রিপন। পাসপোর্ট আবেদনের সঙ্গে ব্যাংক ফির স্লিপও জমা দেন। এরপরও গত তিন বছরে পাসপোর্ট পাননি ডলি।
এ অবস্থায় দুদকে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন রিপন। পরে দুদকের গণশুনানিতে আগামী তিনদিনের মধ্যে ডলিকে পাসপোর্ট সরবরাহের কথা জানান মনসুরাবাদ বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত উল্লাহ। বুধবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রামে দুদকের গণশুনানিতে পাওয়া অভিযোগ থেকে এ তথ্য জানা যায়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আবেদন জমা নিয়ে ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট পাসপোর্ট সংগ্রহের তারিখ দেয় চট্টগ্রামের মনছুরাবাদ বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস।
কিন্তু পাসপোর্ট অফিসের এনরোলমেন্ট কর্মচারী ব্যাংক ফি পেমেন্ট রেফারেন্স নম্বর অন্য একটি আইডির নামে পোস্টিং দিয়ে দেন। এ অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট দেয়নি পাসপোর্ট অফিস। বার বার ধরনা দেওয়ার পর রিপন বড়ুয়াকে পুনরায় ফি জমা দিতে বলা হয়। তিনি পুনরায় ফি না দেওয়ায় তিন বছর পার হতে চললেও পাসপোর্ট পাননি। গণশুনানির আগে দুদকে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন রিপন বড়ুয়া। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শহীদ শাহ আলম বীর উত্তম অডিটোরিয়ামে অভিযোগের শুনানি গ্রহণ করেন দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান। শুনানিতে রিপন তার বক্তব্য তুলে ধরেন। বক্তব্য রিপন বড়ুয়া বলেন, পাসপোর্ট না পেয়ে আমার মাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে পারছি না। আমার মা সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এরপর মনছুরাবাদ বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত উল্লাহ। শুনানির একপর্যায়ে অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে বক্তব্য জানতে চান দুদক কমিশনার। তখন বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক এনায়েত উল্লাহ বলেন, এরইমধ্যে পাসপোর্টটি প্রিন্ট করার অনুরোধ জানিয়ে ঢাকায় চিঠি দেওয়া হয়েছে।