যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশামতো তাইওয়ানে পৌঁছেছেন। গত ২৫ বছরের মধ্যে পেলোসিই চীনের কাছে বিদ্রোহী প্রদেশ হিসেবে বিবেচিত দ্বীপটিতে সফর করা প্রথম মার্কিন স্পিকার। পেলোসি তার চলমান এশিয়া সফরে তাইওয়ান যাবেন কি না তা আগে থেকে স্পষ্ট না করলেও মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে তিনি সেখানে পৌঁছেন। পেলোসির সফর নিয়ে চীনা ক্ষোভের মধ্যে মার্কিন নৌবাহিনী ওই অঞ্চলে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে।
তবে একে রুটিন মোতায়েন বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র। ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে গেলে পরিণতির হুমকি দিয়ে রেখেছিল চীন। পেলোসির সফর এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে বলে অনেকের আশঙ্কা। এর কিছু আগে মার্কিন নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ক্যারিয়ার ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান দক্ষিণ চীন সাগর পাড়ি দিয়ে বর্তমানে ফিলিপাইন সাগরে রয়েছে, যা তাইওয়ানের পূর্বে।
জাপানভিত্তিক ইউএসএস রিগ্যান গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিটাম এবং ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস হিগিন্স নিয়ে কাজ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এগুলো যেকোনো পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে সক্ষম। তবে এটি স্বাভাবিক, নিয়মিত মোতায়েন। ’ যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সফরের বিরুদ্ধে চীনা হুঁশিয়ারিতে তারা ভয় পাবে না। তবে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, সশস্ত্র বাহিনী মনে করে, পেলোসির তাইওয়ান যাওয়া খুব ভালো বুদ্ধির কাজ হবে না। পেলোসির সফর হবে ১৯৯৭ সালের পর থেকে তাইওয়ানে সর্বোচ্চ পদের কোনো মার্কিন কর্মকর্তার প্রথম ভ্রমণ।