পরবর্তী প্রজন্মের মহাকাশ যাত্রা গবেষণার জন্য এরইমধ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে জাপানের প্রযুক্তি জায়ান্ট ফুজিৎসুর ‘হাই পারফর্মেন্স কম্পিউটিং (এইচপিসি)’ ক্লাউড। এর আংশিক সেবা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন সাধারণ ক্রেতারাও।
বড় পরিসরে বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ নিয়ে গবেষণা চালাতে ফুজিৎসুর তরঙ্গ বিশ্লেষণ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ‘জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা)’।
মহাকাশ সংস্থাটি এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক্স-রে ছবি তুলতে সক্ষম স্যাটেলাইট ‘এক্সরিজম’-এর এক্স-রে স্পেকট্রোমিটারের রেডিও তরঙ্গের তীব্রতা পরিমাপ করা যায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার।
ফুজিৎসুর প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজিটাল জগতেই বাস্তব মহাকাশের পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিল জাক্সা। মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি ফুজিৎসুর প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ডিজিটাল মহাকাশে এমন কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে সক্ষম হয়েছে যা বাজারের “প্রচলিত কম্পিউটার প্রযুক্তিতে সম্ভব নয়”।
এটি জরুরী কেন?
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ এবং যোগাযোগের ডিভাইসের কার্যক্ষমতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ। আর ভূপৃষ্ঠ থেকে শুরু করে মহাকাশেও আছে এর উপস্থিতি।
ফুজিৎসু দাবি করছে, প্রচলিত অ্যালগরিদম দিয়ে ডিজিটাল জগতে বড় পরিসরে বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তরঙ্গের চ্যালেঞ্জগুলোর মডেল তৈরি করা সম্ভব নয়; সমাধান তো নয়ই।
কিন্তু, এইচপিসি প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাক্সা নিশ্চিত হতে পেরেছে যে, মহাকাশে ‘এক্সরিজম’-এর এক্স-রে স্পেকট্রোমিটারের অভ্যন্তরীণ রেডিও তরঙ্গের তীব্রতা স্যাটেলাইটটির পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলছে না।