আবহাওয়া খারাপ ছিল। সেনা অফিসারদের নিয়ে যাওয়া হেলিকপ্টারের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। পাকিস্তানের দক্ষিণপশ্চিম অংশে তারা বন্যাত্রাণ দেখতে গেছিলেন।
সেনার তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বালুচিস্তানের লাসবেলা এলাকায় সেনার জওয়ানরা যে বন্যাত্রাণে নেমেছেন, তা দেখার জন্য অফিসাররা হেলিকপ্টারে সেখানে গেছিলেন। কিন্তু হেলিকপ্টারের কী হয়েছে, তা বিবৃতিতে জানানো হয়নি।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, কোর কম্যান্ডার সরফরাজ আলি, পাকিস্তান কোস্ট গার্ডের ডিরেক্টর জেনারেল ব্রিগেডিয়ার আমজাদ হানিফ ও দুইজন গোয়েন্দা অফিসার হেলিকপ্টারে ছিলেন।
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ শুরু হওয়ার পর হেলিকপ্টারটি আর দেখতে পাওয়া যায়নি।
খারাপ আবহাওয়ার জন্য উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে তা আবার শুরু হয়।
পাকিস্তানে ভয়ংকর বৃষ্টির পর প্রবল বন্যা হয়েছে। সেনাকে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে লাগানো হয়েছে। বালুচিস্তানে প্রচুর মানুষ মারা গেছেন এবং অনেক ঘরবাড়ি ভেসে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক। সোমবার তিনি দুর্গত অঞ্চল ঘুরে দেখেছেন। শরীফ বলেছেন, পুরো দেশ বন্যাদুর্গত ও তাদের সাহায্যকারীদের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দিনগুলিতে পাকিস্তানে আরো বৃষ্টি হবে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।