খাবারে সূর্যমুখী তেলের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। বীজ থেকেই এই তেল উৎপাদন করা হয়। কিন্তু সরাসরি সূর্যমুখী বীজও যা খাওয়া যায় তা অনেকেরই জানা নেই। গবেষণা বলছে, এই বীজ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। এছাড়াও এই বীজ কোলেস্টেরলের পরিমাণ একেবারে শূন্য।
এমনিতে যেকোনো ধরনের বীজ খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। সূর্যমুখীর বীজও এর ব্যতিক্রম নয়। সূর্যমুখীর বীজ খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে: নিউইয়র্কয়ের পুষ্টিবিদ টবি এমিডোরের মতে, সূর্যমুখীর বীজে শরীরের জন্য উপকারী মনোআনস্যাচুরেইটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছ। প্রতি আউন্স সূর্যমুখীর বীজে প্রায় ৩ গ্রাম পরিমাণ মনোআনস্যাচুরেইটেড ও ৯ গ্রাম পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়। এসব ফ্যাট উচ্চ মাত্রায় থাকায় তা প্রদাহ কমায়।
ডায়াবেটিস ক্রিয়েট ইয়োর প্লেট মিল প্রিপারেশন কুকবুক’য়ের এই লেখক ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, পলিআনস্যাচুরেইটেড ফ্যাট প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
সোডিয়ামের চাহিদা মেটায়: লবণযুক্ত সূর্যমুখীর বীজ দৈনিক সোডিয়ামের চাহিদা মেটাতে পারে।
হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে: গবেষণায় দেখা গেছে, সূর্যমুখীর বীজ রক্তচাপ কমায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এক আউন্স সূর্যমুখীর বীজে ৭.৪ মি.লি. গ্রাম ভিটামিন ই থাকে যা দৈনিক চাহিদা পূরণ করে। আর ভিটামিন ই গ্রহণ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে।
‘আমেরিকান জার্নাল অব থেরাপিউটিস’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দীর্ঘস্থায়ী হৃদরোগ ও মধ্য বয়সে হওয়া নানা রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ: ‘কিউরিয়াস জার্নাল অব মেডিকেল সায়েন্স’এ প্রকাশিত ‘মেডিসিন সার্ভিসেস হসপিটাল লাহোর’ ও ‘ডায়েট অ্যান্ড নিউট্রিশন, ইউনিভার্সিটি অফ লাহোর’য়ের করা গবেষণার ফল অনুযায়ী, সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে ‘ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড’, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, সূর্যমুখীর বীজ ‘গ্লাইসেমিক’নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর অর্থ হলো এই বীজে ডায়াবেটিস বিরোধী উপাদান রয়েছে।