প্রেক্ষাগৃহে ঝড় তুলেছে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া’। ২৪ হলে চলছে সিনেমাটি। সবখানেই হাউজফুল। অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে আগামী তিন-চার দিনের। গত শুক্রবার ২৪টি হলে মুক্তি পেয়েছে ‘হাওয়া’। তার কয়েকদিন আগে থেকেই সিনেমাটি নিয়ে দর্শকের মাঝে বিপুল আগ্রহ, উৎসাহ, উদ্দীপনা।
তবে খারাপ খবর হলো- ‘হাওয়া’ মুক্তির পর সেটি দেখে অনেকেই নকলের অভিযোগ তুলেছেন। বলা হচ্ছে, কোরিয়ান সিনেমা ‘সি ফগ’-এর সঙ্গে ‘হাওয়া’র মিল আছে। ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল কোরিয়ান ভাষার সিনেমা ‘সি ফগ’। নির্মাণ করেছিলেন সাং বু শিম।
ওই সিনেমার কাহিনিতে দেখানো হয়, চীন থেকে কোরিয়াতে অবৈধ মানবপাচারের জন্য ভাড়া করা হয় মাছ ধরার নৌকা। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়াসহ নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে সেই নৌকা। অন্যদিকে, ‘হাওয়া’তে দেখানো হয়েছে একটি মাছ ধরা ট্রলার, কয়েকজন জেলে এবং এক বেদেনীর গল্প। তার মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে কিছুটা রূপকথা।
কাজেই প্রশ্ন উঠেছে, ‘হাওয়া’ কি সত্যি কোরিয়ান সিনেমার নকল? কী বলছেন এটির পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন?
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘যারা নকলের অভিযোগ তুলেছেন তারা মনে হয় আমার সিনেমাটি দেখেননি। তাদের বলব, আপনারা আগে সিনেমাটি দেখুন। তারপর অভিযোগ করুন। আমি জোর গলায় বলব, এটা আমাদের সিনেমা, আমাদের গল্প। যারা নকল বলছেন, তাদের প্রতি আহ্বান, আপনারা দুটি সিনেমা পাশাপাশি রেখে দেখুন।’
সুমন আরও বলেন, ‘সিনেমা দুটির শুটিং সাগরে হয়েছে বলে অনেকে এরকম ভাবছেন। তাদের ধারণা ভুল। সাগরে দৃশ্যধারণ করা হলেই তো আর সিনেমা এক হয় না। পৃথিবীতে সমুদ্রের গল্পে নির্মিত অসংখ্য চলচ্চিত্র আছে। যে সিনেমাটির কথা বলা হচ্ছে সেটা মানব পাচারের গল্পে নির্মিত। সেটির সঙ্গে আমার সিনেমার কোনো মিল নেই। তাই নকলের অভিযোগ হাস্যকর।
বেশ কিছু নাটক ও বিজ্ঞাপন বানিয়ে হাত পাকিয়েছেন ‘হাওয়া’র নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন। প্রথমবার বানিয়েছেন সিনেমা।
‘হাওয়া’র প্রধান চরিত্র চাঁন মাঝির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। বিভিন্ন চরিত্রে রয়েছেন নাজিফা তুশি, শরিফুল ইসলাম রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান এবং বাবলু বোস। সিনেমার পাশাপাশি এর ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটিও দেশব্যাপী বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।