তিন সংস্করণেই ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু তিনি আর টস করতে নামছেন কই! কখনো লোকেশ রাহুল, কখনো ঋষভ পন্ত কিংবা কখনো হার্দিক পান্ডিয়া—প্রায় প্রতি সিরিজের আগেই নতুন নতুন অধিনায়ক দেখা যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটে। চোট, বিশ্রাম কিংবা কাছাকাছি সময়ে সিরিজ হওয়ায় অধিনায়কত্বের এই মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই।
সেই ধারা অব্যাহত থাকছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও। আগামী ১৮, ২০ ও ২২ আগস্ট হারারেতে অনুষ্ঠেয় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে শিখর ধাওয়ানের নাম। নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে এ সিরিজে। ভারতীয় ক্রিকেটে যেভাবে নিত্যনতুন অধিনায়কের দেখা মিলছে, তাতে অবশ্য ‘নিয়মিত’ কথাটাই মূল্য হারিয়ে ফেলেছে। অবিশ্বাস্যই বলতে হবে, এ বছর তিন সংস্করণ মিলিয়ে সাতজন ভিন্ন অধিনায়ক দেখেছে ভারত!
গত বছর প্রথমে টি–টোয়েন্টি ও পরে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন রোহিত শর্মা।
জানুয়ারিতে পেয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্বও। তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্বই রোহিতের কাঁধে ওঠার পর থেকে ভারত এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছে ৩২টি। এর ১৮টিতে খেলেছেন রোহিত শর্মা। বাকি ১৪টি ম্যাচে ভারতের অধিনায়কত্ব করেছেন লোকেশ রাহুল (৩), ঋষভ পন্ত (৫), হার্দিক পান্ডিয়া (২), যশপ্রীত বুমরাহ (১) ও শিখর ধাওয়ান (৩)। একেক সিরিজে একেক অধিনায়ক নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে অনেক দিন ধরেই চলছে আলোচনা–সমালোচনা। অধিনায়কত্বের এই ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’ খেলা নিয়ে এর আগে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক ও বোর্ডপ্রধান সৌরভ গাঙ্গুলীও তাঁর আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে সাতজন আলাদা অধিনায়ক থাকায যে আদর্শ ব্যাপার নয়, এই জানা কথাটাই বলেছিলেন তিনি। এবার সমালোচনার পালে জোর হাওয়া দিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ। ভারতের এ কাণ্ড দেখে যাঁর মনে পড়ে যাচ্ছে ১৯৯০ দশকের পাকিস্তান দলের কথা।