গুগল জানাচ্ছে দেশে বন্যার আগাম তথ্য

প্রথম আলো প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২২, ১৩:১৫

গুগলে বন্যার পূর্বাভাস
তথ্যপ্রযুক্তির গতিময় অগ্রযাত্রার এই যুগে বিশ্বের জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের (Google) ওপর মানুষ অনেকাংশেই নির্ভরশীল। গুগল এমন এক নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তিতে পরিণত হয়েছে, যা শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর মানুষের মৌলিক চাহিদা থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও সরকারি নীতিনির্ধারণে তথ্যসেবা দিয়ে থাকে। এই সার্চ ইঞ্জিন যে শুধু মানুষের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি খাতে সেবা দিচ্ছে, তা নয়; একই সঙ্গে নানা দুর্যোগে মানুষকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করছে। মানুষের জানমালেরÿক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।


‘Google Flood Alert’ (গুগল ফ্ল্যাড অ্যালার্ট) পরিষেবা একটি অত্যাধুনিক এবং সহজলভ্য প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ বন্যার আগাম বার্তা পাওয়া সম্ভব। ভারতসহ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বন্যা পর্যবেক্ষণে গুগলের এই প্রযুক্তি বেশ আগে থেকে ব্যবহার করছে। বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তা দিতে বাংলাদেশে প্রায় দুই বছর ধরে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। গত মে ও জুন মাস মিলিয়ে দেশের প্রায় ২৩ লাখ ২০ হাজার মানুষকে গুগল এই সেবা দিয়েছে। গুগল তাদের দিনে দুবার করে নিজ নিজ এলাকার বন্যার আগাম পূর্বাভাস দিয়েছে। বন্যার পানি তাদের এলাকা থেকে কত দূরে আছে, কত সময়ের মধ্যে তা বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছাবে, কখন বন্যায় তাদের এলাকা ডুবে যাবে—গুগল ফ্লাড অ্যালার্টে এসব তথ্য জানা যাচ্ছে।


মানুষকে বন্যা বা আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে তথ্য পেতে একসময় দৈনিক পত্রিকা ও সরকারি দপ্তরগুলোর ওপর নির্ভর করতে হতো। এখন গুগল ফ্লাড অ্যালার্টের মাধ্যমে যেকোনো নাগরিক সহজে এসব তথ্য পেতে পারেন। এতে বন্যার আগে প্রস্তুতি নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। দ্রুত পরিবারের বয়স্ক ও শিশুদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় সম্পদ ও সামগ্রী নিরাপদে রাখার মতো কাজ সেরে নেওয়া যায়।


গুগল বন্যা পূর্বাভাসে যেভাবে যুক্ত বাংলাদেশ


বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস পরিষেবা গুগলের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছাতে সরকার ২০১৮ সালে প্রথম চেষ্টা শুরু করে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ দপ্তর, সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সংস্থা এটুআই এবং আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা গুগল যৌথভাবে এ কার্যক্রম শুরু করে। ২০২০ সালে ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা’ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। ২০২০ ও ২০২১ সালে বন্যা মৌসুমে পরীক্ষামূলক কাজ সফলভাবে শেষ হয়। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পাউবোর তত্ত্বাবধানে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রমটির যাত্রা শুরু হয়।


বন্যা সতর্কীকরণ ব্যবস্থায় পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ দপ্তর থেকে তৈরি আগাম পাঁচ দিনের বন্যা পূর্বাভাস উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এরপর ভূ-উচ্চতার তথ্য ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির মাধ্যমে গুগলের সহযোগিতায় স্থানীয় পর্যায়ে প্লাবন মানচিত্র প্রস্তুত ও প্রচার শুরু হয়। এর মাধ্যমে বন্যাকালে অথবা বন্যা শুরুর তিন দিন থেকে তিন ঘণ্টা সময় আগে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন ধরনের পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।


বন্যা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি পেশাজীবী ও গণমাধ্যম কর্মীরা পাউবোর বিদ্যমান বন্যা পূর্বাভাস সেবার তথ্য ব্যবহার ও প্রচারের ব্যবস্থা নিতে পারেন। বর্তমানে দেশের ৫৫টি উপজেলার মানুষ এই পরিষেবার সুবিধা নিতে পারছে। তবে এ জন্য প্রয়োজন ব্যাপক প্রচারণা ও জনসম্পৃক্ততা। এবারের বন্যা মৌসুমেও সেবাটি সচল রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us