সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ২০৫/৩ (চাকাভা ৮, আরভিন ২১, মাধেভেরে ৬৭ (আহত অবসর), উইলিয়ামস ৩৩, রাজা ৬৫*, বার্ল ০*; তাসকিন ৪-০-৪২-০, নাসুম ৪-০-৩৮-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৫০-২, মোসাদ্দেক ৩-০-২১-১, শরিফুল ৪-০-৪৫-০, আফিফ ১-০-৬-০)
শুরুতেই ফিরলেন মুনিম
বড় রান তাড়ায় বাংলাদেশের প্রয়োজন ভালো শুরু। উল্টো দ্বিতীয় ওভারে উইকেট হারাল সফরকারীরা। হ্যামিল্টন মাসাকাদজার উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মুনিম শাহরিয়ার।
প্রথম ওভার থেকে আসে কেবল পাঁচ রান। মাসাকাদজার প্রথম দুটি বল ডট খেলেন মুনিম। তৃতীয় বলটি ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট থার্ড ম্যানে যায় সহজ ক্যাচ। ৮ বলে মুনিম করেন ৪।
২ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৬। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী এনামুল হক।
ছন্নছাড়া বোলিংয়ে ২০৬ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
সময় যত গড়াল তত এলোমেলো হলো বাংলাদেশের বোলিং। ফুলটস, হাফ ভলি, লেগ স্টাম্পের বাইরে ডেলিভারি দিয়ে গেলেন অকাতরে। তাদের উপহার দুই হাতে কাজে লাগালেন সিকান্দার রাজা ও ওয়েসলি মাধেভেরে। মারলেন একের পর এক বাউন্ডারি। রান এলো বানের জলের মতো।
২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৫ রান করে জিম্বাবুয়ে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই তাদের সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ গত বছর হারারেতেই ৫ উইকেটে ১৯৩।
ছন্নছাড়া বোলিংয়ে বাংলাদেশ পেল এতো বড় লক্ষ্য। প্রথম ১০ ওভারে জিম্বাবুয়ে ২ উইকেটে করেছিল ৭৪ রান। পরের ১০ ওভারে স্বাগতিকরা যোগ করে ১৩১ রান!
চার বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলা বাংলাদেশকে পঞ্চম বোলার হতাশ করেননি। মোসাদ্দেক হোসেন ও আফিফ হোসেন মিলিয়ে ৪ ওভারে দেন কেবল ২৭ রান। কিন্তু বিশেষজ্ঞ বোলাররা ঠিক মতো করতে পারেননি নিজেদের কাজ। তাদের খরুচে বোলিংয়েই মূলত রানের পাহাড় টপকাতে হবে বাংলাদেশকে।
মাধেভেরে ও রাজা দুই জনই করেন ফিফটি। ৩৭ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ৯ চারে ৪৬ বলে ৬৭ রান করে মাঠ ছাড়েন মাভেধেরে। শেষ ওভারে ২ রান নেওয়ার পথে ডাইভ দিয়ে হাতে চোট পান এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। হাতের চোট পাওয়ায় আর মাঠে থাকেননি তিনি। রাজার সঙ্গে ৪৩ বলে গড়েন ৯১ রানের জুটি।
২৩ বলে ফিফটি করা রাজার সামনে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশের বোলিং। এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার চার ছক্কা ও সাত চারে ২৬ বলে অপরাজিত থাকেন ৬৫ রানে।