ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬০ জন। বুধবার (২৭ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটে দেশটির উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে এ ভূকম্পন।
এতে কয়েক জায়গায় ছোট ভূমিধসসহ বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রচণ্ড কম্পনের কারণে রাজধানী থেকে ৪০০ কিলোমিটারেরও বেশি (২৪৯ মাইল) দূরের উঁচু টাওয়ারগুলো কেঁপে উঠেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ১ বলে জানায়। তবে ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ২ এবং ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৩ বলে জানিয়েছে।
কিন্তু সংস্থাটি পরবর্তীতে তা সংশোধন করে মাত্রা ৭ বলে জানায়। ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল আবরা প্রদেশের পার্বত্য এলাকায় এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি লাগানগিলাং শহরের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাইকেল ব্রিলান্টেস বলেন, মাটি এমনভাবে কাঁপছিল, মনে হচ্ছিল যেন আমি কোনো দোলনায় রয়েছি এবং হঠাৎ আলো নিভে গেলো। আমরা দৌড়ে অফিস থেকে বেরিয়ে আসি। আমি চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম এবং আমার কিছু সঙ্গী কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ারে অবস্থানের কারণে ফিলিপাইনে প্রায়ই শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ১৯৯০ সালে দেশটির উত্তরাঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে প্রায় দুই হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। ২০১৩ সালের অক্টোবরে ৭ দশমিক ১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে ফিলিপাইনের বোহোল দ্বীপে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।