২০২২ সালে কভিড-১৯-এর কারণে চীনের সাংহাইয়ে কঠোর লকডাউন জারি করে সরকার। লাখ লাখ মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়ে। তখন অনেকে চীনের জিরো কভিড নীতি নিয়ে বেশ সমালোচনাও করেন। সে সময়ে জনগণের মতামত প্রকাশের সুযোগকে সীমিত করে দেয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন মিডিয়া সাইট যেমন উইচ্যাটকে এসব নীতি বিষয়ে নেতিবাচক ও সমালোচনামূলক সব পোস্ট মুছে ফেলা বা সীমিত করার নির্দেশ দেয়। চীনা জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ এ সুপার অ্যাপটি ব্যবহার করে। কিন্তু সরকারি ওই সেন্সরশিপে হিতে বিপরীত হয়। অভূতপূর্ব জনরোষ দাঁড়ায় ভার্চুয়াল বিক্ষোভে।
লকডাউনের ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে কিছু ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। ছয় মিনিটের ‘ভয়েস অব এপ্রিল’ নামে একটি ভিডিওচিত্রে কোয়ারেন্টিনে রাখার কারণে মায়ের কাছ থেকে সন্তানকে আলাদা করার কান্না, খাবারের জন্য হাহাকার এবং বাবা-মায়ের চিকিৎসা চেয়ে সন্তানের কান্নাকাটির মতো দৃশ্য দেখানো হয়। শুধু সাংহাইতেই সেটা কয়েক লাখ ভিউ হয়, পরে সেটা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। দ্রুতই ওই কনটেন্টটি ব্যানড কনটেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্লাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এমনকি চীনের টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবোয় ‘এপ্রিল’ শব্দটি দিয়ে সাময়িক সার্চ রেজাল্টও বন্ধ রাখা হয়। যদিও তাতে শেষ সমাধান হয়নি। জনগণ মাথা ফুঁড়ে দাঁড়ানোর কোনো না কোনো পদ্ধতি বের করেই নেয়।