বাংলাদেশ, ভারতসহ আশেপাশের দেশগুলোতে পুরুষ এবং মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আমাদের সমাজে নিঃসন্তান হওয়ার কারণে বেশি কটুক্তি শুনতে হয় নারীদের, পাশাপাশি নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে অর্ধেকেরও বেশি পুরুষ ভুক্তভোগী। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর চিকিৎসকদের মতে, ভারতে প্রায় ১.০ থেকে ১.২ কোটি দম্পতি প্রতি বছর বন্ধ্যাত্বের স্ক্রিনিং করেন।
প্রায় তিন দশক আগে সাধারণ ভারতীয় যুবকদের শুক্রাণুর সংখ্যা প্রতি মিলি ছিল প্রায় ৬০ মিলিয়ন, এখন সেটি দাঁড়িয়েছে ২০ মিলিয়নে। পাশাপাশি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ্যার ঝুঁকিও বাড়ছে। পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের ক্ষেত্রে বেশ অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সেই তালিকা রয়েছে অনিয়মিত জীবনযাপন, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব ,পরিবেশ দূষণ, অস্বাস্থ্যকর খাবার, মানসিক চাপ, অ্যালকোহল সেবন, ধূমপান প্রভৃতি। পাশাপাশি এক্ষেত্রে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে তামাকের ব্যবহার। ধূমপান মানব শরীরে প্রায় সাত হাজারেরও বেশি রাসায়নিক এবং আরওএস নিঃসরণ করে।