বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি অস্বাভাবিক দ্রুততায় কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব; সরকারের শিল্প, বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ ব্যাংক—এসব বহুপক্ষের তীব্র দর-কষাকষি ও ডজন-ডজন সভার পরে এমন সব কঠিন সিদ্ধান্ত আসার কথা। কিন্তু হঠাৎ করে এক দিনেই সিদ্ধান্তগুলো হয়ে যাওয়া অবাক করার মতো ব্যাপার!
দৃশ্যত মনে হচ্ছে, খাদ্য, জ্বালানি ও কাঁচামাল ছাড়া বাদবাকি আমদানি বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক বড় বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। আমদানি অর্থনীতিকে এভাবে নিরুৎসাহিত করলে ডলার বাঁচবে, কিন্তু রপ্তানি বাঁচবে কি? আমাদের রপ্তানিও যে আমদানিনির্ভর! এবং সার্বিকভাবে কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতি বাঁচবে কি?
ডলার-সংকট নিরসনে একসঙ্গে নেওয়া অনেক সিদ্ধান্তের কিছু হচ্ছে:
১. ব্যাংকের ডলার ধারণের সীমা (নেট ওপেন পজিশন বা এনওপি) হ্রাস।
২. রপ্তানিকারকের প্রত্যাবাসন কোটায় (ইআরকিউ) ধারণকৃত ডলারের ৫০ শতাংশ নগদায়ন করার বাধ্যবাধকতা।
৩. ইআরকিউ হিসেবে জমা রাখার সীমা কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনা, আদায় করা রপ্তানি আয় জমা রাখার সীমা অর্ধেক করা।