হাসপাতালেও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন

যুগান্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২২, ১১:৫৬

মানুষের উদাসীনতার কারণে ইতোমধ্যে করোনার প্রকোপ বারবার বৃদ্ধি পেয়েছে। লক্ষ করা গেছে, কর্তৃপক্ষ কঠোর পদক্ষেপ না নিলে বেশির ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে খুব একটা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয় না। কাজেই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগেই কর্তৃপক্ষের উচিত যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া। গতকাল যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের কোভিড ও নন-কোভিড ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্টরা মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছেন না।


এমনকি হাসপাতালে কর্মরত নার্স, ওয়ার্ডবয় ও আয়াদের মধ্যে অনেকেই মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীন। একটি হাসপাতলের বহির্বিভাগ থেকে শুরু করে জরুরি অস্ত্রোপচার কক্ষেও বেশ কয়েকজন রোগী, ব্রাদার ও ওটিবয়কে মাস্কবিহীন দেখা গেছে। আবার হাসপাতালে সেবা নিতে আসা বেশির ভাগ রোগী ও স্বজনের মুখে মাস্ক দেখা যায় না।


অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও তা থুতনির নিচে ঝুলতে থাকে। গত শুক্রবার ৬২০ জন করোনার রোগী শনাক্ত হয়েছে, এর পরদিন শনাক্ত হয়েছে ৪৪৬ জন নতুন রোগী। সংক্রমণ পরিস্থিতি তীব্র না হওয়ায় হাসপাতালগুলোতে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ উধাও হয়ে গেছে। অথচ আমরা জানি, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন অবশ্যই দরকার। হাসপাতালের মতো জনবহুল জায়গায় সব সময় ঝুঁকি থাকে বেশি। এছাড়া অসুস্থ ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম থাকে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীন হলে এ ভাইরাস আবার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। সবাই সতর্ক থাকলে করোনার নতুন ঢেউ সীমিত রাখা কঠিন কোনো কাজ নয়। দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি ছয় দফা ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারের করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। দুঃখজনক হলো, অনেকেই ওই কমিটির নির্দেশনা মেনে চলছে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us