‘সেতু চুপে শুয়ে আছে, সেতু শুয়ে আছে তার ছায়ার উপরে’—বিনয় মজুমদারের ‘অঘ্রানের অনুভূতিমালা’ কবিতার এই লাইনের চিত্রকল্পের বাস্তব চেহারা নিয়ে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-রবিরবাজার-শরীফপুর সড়কের রাজাপুর এলাকায় এক বছর ধরে ‘শুয়ে আছে’ ৩২ কোটি টাকার একটি সেতু। এই এক বছরেও সেই সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক বসেনি। ফলে ‘দুই ধার উঁচু তার ঢালু তার পাড়ি’। এ কারণে ‘পার হয়ে যায় গরু পার হয় গাড়ি’ অবস্থা সেখানে নেই।
স্থানীয় মানুষ সেতুর এক প্রান্তে ৫০ ফুট এবং অন্য প্রান্তে ৩০ ফুটের সুউচ্চ বাঁশের মই বসিয়েছেন। যাঁদের শরীর-স্বাস্থ্য ভালো, তাঁরা পর্বতারোহণের অনুভূতি নিয়ে মই বেয়ে সেতুতে উঠছেন, তারপর অতিসতর্কতায় অন্য প্রান্তের মই বেয়ে নামছেন।
রূপকথার গল্পে শিয়াল তার বন্ধু সারসকে দাওয়াত করে চ্যাপটা থালায় পানির মতো পাতলা পায়েস খেতে দেওয়ার পর লম্বা ঠোঁট নিয়ে সেই পায়েস খেতে গিয়ে সারসের যে দশা হয়েছিল, স্থানীয় মানুষের কাছে এই সেতুর ব্যবহার অনেকটা সে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।