এর মধ্যে নানা দেশে মন্দার পদধ্বনি শুরু হয়েছে। এতে রপ্তানি আদেশ কমে যাচ্ছে, আবার বাড়ছে উৎপাদন খরচ। এর মধ্যে দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়েছে। যে কারণে শিল্প এলাকার বাইরে অবস্থিত কারখানাগুলো বিভিন্ন সময়ে বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
এ রকম এক পরিস্থিতিতে গতকাল রোববার দেশের মানি চেঞ্জার ও খোলাবাজারে ডলারের দামে রেকর্ড হয়েছে। প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা। এর ফলে বিদেশগামী যাত্রী, রোগী, ভ্রমণ ও শিক্ষার উদ্দেশ্যে যাওয়া নাগরিকদের ডলার কিনতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে, যা তাঁদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে। কারণ, এমনিতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রপ্তানি আয় বাড়াতে ডলারের দাম বাড়াতে হবে। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় আমদানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ডলার খরচ করে যেসব কম গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রকল্প হচ্ছে, তাতেও ধীরে চলা নীতি নিতে হবে।
ডলার–সংকট কেন
বাংলাদেশে ডলারের সংকট শুরু হয় গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়ে। ওই সময়ে ডলারের দাম ধরে রাখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে আয় পাঠাতে অবৈধ পথ বেছে নেন অনেক প্রবাসী। ওই সময় কিছু আমদানিকারক আমদানি দায় পরিশোধের সময় ছয় মাস পিছিয়ে দেন, যা পরিশোধের সময় হয় চলতি বছরের মে মাসে। তবে মে মাসে দেশে প্রবাসী আয় কমে যায়।