চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পাঁচজন ছাত্র মিলে একজন ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন ও হেনস্তার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে যে উত্তাল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ, তা যে কোনো বিবেচনাতেই সমর্থনযোগ্য। শিক্ষার্থীদের দেওয়া চার দফা দাবি চার কর্মদিবসের মধ্যেই পূরণ করা হবে- এ মর্মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীতিগতভাবে একমত। যে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনা ঘটে, তার পরদিনই প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে সব হলের প্রভোস্ট ও প্রক্টরিয়াল বডিকে নিয়ে জরুরি সভায় বসে। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে 'শূন্য সহিষুষ্ণতা' ঘোষণা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অঙ্গীকার করা হয়।
প্রশাসনের এ ত্বরিত ব্যবস্থা স্বাগত হলেও বিপত্তি ঘটে অন্য একটি সিদ্ধান্তে। খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, ছাত্রীদের রাত ১০টার মধ্যে হলে প্রবেশের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না থাকলেও এ সিদ্ধান্ত ২০ জুলাই থেকে কার্যকরের কথা রটে যায়। দুই শতাধিক ছাত্রী ২০ তারিখ রাত ১০টায় নিজ নিজ হল থেকে বের হয়ে ভিসির বাংলোর সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।