কয়েক দিনের টানা তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তাই এ গরমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র (এসি) এবং এয়ারকুলারের বিক্রি বেড়েছে। পাশাপাশি সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান ও চার্জার ফ্যানেরও বিক্রি বেড়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি ব্র্যান্ডের এসিতে চলছে আকর্ষণীয় ছাড়।
নগদ কেনার ক্ষেত্রে এসিতে চলছে ১০ থেকে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। একই সঙ্গে বিশাল ছাড়ে গ্রাহকদের পুরনো এসি পাল্টে নতুন এসি কেনারও সুযোগ দিয়েছে কম্পানিগুলো।
বিক্রেতারা বলছে, অস্বস্তিকর গরমে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ঘর ঠাণ্ডা রাখতে এখন এসি কিনতে আসছে ক্রেতারা। মধ্যবিত্তরাও এখন কিস্তিতে এসি কিনে নিচ্ছে। যাদের এসি কেনার সামর্থ্য নেই তারা এয়ারকুলার কিনে নিচ্ছে।
গতকাল সোমবার সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ইলেকট্রনিকসের দোকান ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এসির শোরুম ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাজধানীর বাড্ডা প্রগতি সরণি ওয়ালটন শোরুমের ম্যানেজার মোস্তফা কামাল (সোহাগ) কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তাপপ্রবাহের কারণে এসি ও ফ্যানের বিক্রি ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত জুন মাসে এই শোরুম থেকে ২০টি এসি বিক্রি হয়েছিল। ঈদের ছুটির পর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গত চার দিনেই ১০টা এসি বিক্রি হয়েছে। সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান, ও চার্জার ফ্যানের বিক্রিও কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই ক্রেতারা শোরুমগুলোতে এসে এসি দরদাম জেনে যাচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এক টনের ওয়ালটন এসি সর্বনিম্ন ৪১ হাজার ৯০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এবং দুই টনের এসি সর্বোচ্চ ৮২ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ওয়ালটনের যেকোনো এসি কিনলে ১০ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত নগদ ছাড় রয়েছে। পুরনা এসি পাল্টে ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট সুবিধায় নতুন এসি নেওয়ার সুযোগও রয়েছে। ’
মোস্তফা কামাল আরো বলেন, ‘আগে মধ্যবিত্ত শ্রেণি মানুষ এয়ারকুলারের প্রতি আকৃষ্ট ছিল। কিন্তু এবারের গরমে এয়ারকুলারে নজর কম। কারণ এসির দাম মধ্যবিত্তের সামর্থ্যের মধ্যে আসার কারণে তারাও এসির ব্যবহারে ঝুঁকছে। ’